1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিখোঁজ বিমানের অনুসন্ধান

৩ এপ্রিল ২০১৪

মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানের ব্ল্যাক বক্স সংকেত পাঠানো শীঘ্রই বন্ধ করে দেবে৷ তার খোঁজে যোগ দিচ্ছে বিশেষ জাহাজ ও সাবমেরিন৷ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এখনো হাল ছাড়তে রাজি নন৷

https://p.dw.com/p/1BaZL
MH 370 Flug Malaysia Airlines PK Tony Abbott Najib Razak
ছবি: picture-alliance/dpa

সপ্তাহের পর সপ্তাহ কেটে যাচ্ছে, বিশ্বের এতগুলি দেশের ক্ষমতা একসঙ্গে কাজে লাগিয়েও একটি মাত্র বিমানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না৷ ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে কোনো একটি এলাকায় বিমানটি সমুদ্রে তলিয়ে গেছে – এমন অনুমান করা হলেও এখনো পর্যন্ত তার একটি অংশও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি৷ অনেকে মনে করছেন, অদূর ভবিষ্যতে তার কোনো সম্ভাবনাও নেই৷

কিন্তু হাল ছাড়তে রাজি নয় বাকিরা৷ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বৃহস্পতিবার বলেছেন, এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটের রহস্যের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিশ্রাম নেবেন না৷ বিমানটি না পাওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের আত্মীয় স্বজনরা শেষ আশা ছেড়ে শোক পালন করতে পারছেন না৷ তাঁদের মনের অবস্থা কল্পনা করাও কঠিন, বলেন তিনি৷

অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরের সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করতে এসে নাজিব রাজাক সন্ধানের কাজে সক্রিয় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন৷ এই প্রচেষ্টাকে তিনি মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন অনুসন্ধান অভিযান হিসেবে বর্ণনা করেন৷ তবে এমন পেশাদারি প্রচেষ্টার ফল অবশ্যই পাওয়া যাবে বলে তিনি আস্থা প্রকাশ করেন৷

গোটা ঘটনাকে ঘিরে মালয়েশিয়ার সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা বন্ধ হচ্ছে না৷ অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া যেভাবে অনুসন্ধানের কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে, সার্বিকভাবে সেই উদ্যোগের প্রশংসা শোনা যাচ্ছে৷ তবে সমুদ্রের বিশাল এলাকায় অনুসন্ধানের ক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও সে দেশের প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট বলেছেন, এর আগে এত কঠিন কাজ কখনো করতে হয়নি৷

উল্লেখ্য, যে আটটি দেশ এই কঠিন কাজে পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থায় তাদের মধ্যে সহযোগিতার এমন মাত্রা দেখা যায় না৷ অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, চীন, জাপান, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী পরস্পরের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিমানটির খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ পার্থ শহর থেকে প্রায় ১,৬০০ কিলোমিটার দূরে প্রায় ২৩৭,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে এই সব দেশগুলির ৮টি বিমান ও ৯টি জাহাজ৷ বুধবার ব্রিটেনের একটি নিউক্লিয়ার সাবমেরিনও অনুসন্ধানের কাজে যোগ দিয়েছে৷ শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার একটি জাহাজ সেখানে যাচ্ছে, যার মধ্যে বিমানের ব্ল্যাক বক্স শনাক্ত করার বিশেষ যন্ত্র বসানো রয়েছে৷ তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি, যেখানে আরও মনোযোগ দিয়ে খোঁজ চালানো যেতে পারে৷ তাছাড়া আর প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে ব্ল্যাক বক্স সংকেত পাঠানো বন্ধ করে দেবে৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য