নিঃসঙ্গতা কাটাতে স্কুল
নিঃসঙ্গতার বিরুদ্ধে লড়তে থাইল্যান্ডের সরকার বয়স্কদের জন্য বিশেষ স্কুল চালু করেছে৷ সপ্তাহে একদিন করে তিনমাস স্কুলে যান শিক্ষার্থীরা৷
স্কুলে যাওয়ার আনন্দ
লাল-সাদা পোশাক পরে স্কুলে যাচ্ছেন তাঁরা৷ নিঃসঙ্গতা থেকে বয়স্ক মানুষদের কিছুদিনের জন্য হলেও মুক্তি দিতে দেশজুড়ে বিশেষ স্কুল গড়ে তুলেছে থাইল্যান্ডের সরকার৷
ক্লাস তিনমাস
সপ্তাহে একদিন করে তিনমাস ধরে চলে এই স্কুল৷ সেখানে নাচের ক্লাসেরও ব্যবস্থা আছে৷ ছবিটি থাইল্যান্ডের আয়ুথায়া রাজ্যের একটি বিশেষ স্কুলে তোলা৷
অপেক্ষা
৭৭ বছরের সোমজিৎ তিরারোজ (মাঝে) বলছেন, ‘‘আমি প্রত্যেক বুধবারের অপেক্ষায় থাকি৷ সেদিন আমি পোশাক পরে স্কুলে যাই৷ বন্ধুদের সাথে দেখা হয়৷ হাসি-তামাশা করি৷’’ স্বামীর মৃত্যুর পর একাকী জীবনযাপন করা সোমজিৎ স্কুলে যাওয়ার মাধ্যমে শোক থেকে মুক্তি খুঁজছেন৷
বুড়িয়ে যাচ্ছে থাইল্যান্ড
দেশটিতে দিনদিন সোমজিতের মতো মানুষের সংখ্যা বাড়ছে৷ বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০৪০ সালে থাইল্যান্ডের প্রতি চারজনের একজনের বয়স ৬৫ বছরের বেশি হবে – যা পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ হবে৷
একাকীত্বের জীবন
থাইল্যান্ডে অতীতে সন্তানরাই বয়স্ক বাবা-মাদের দেখাশোনা করতো৷ কিন্তু এখন জীবিকার তাগিদে ছেলে-মেয়েরা শহরে চলে যাওয়ায় গ্রামে থাকা বাবা-মা, দাদা-দাদি, নানা-নানিদের একাই জীবন কাটাতে হচ্ছে৷
‘দারুণ মজার’
৬৩ বছরের পুনশ্রি সেয়াঙ্গুয়াল স্কুলে যাওয়ার জন্য চুল বেঁধেছেন৷ স্কুল যেতে খুব ভাল লাগে তাঁর৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি আসলেই স্কুলে যেতে পছন্দ করি৷ অনেক মজা হয় সেখানে৷ কিছু বিষয় শিখতেও পারি৷ আমার অনেক বন্ধু হয়েছে৷ যখন স্কুলে যাই না, তখন একা লাগে৷ ক্লাসরুম মিস করি আমি৷’’
মা-মেয়ে একসঙ্গে
কানাইয়ারাত খনক্রিট (ডানে) তাঁর ৯১ বছর বয়সি মা ফোয়েম খনক্রিটকে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি করছেন৷ তাঁরা দু’জনেই বয়স্কদের স্কুলে পড়েন৷ স্কুলে গিয়ে অনেকের সঙ্গে মেশার কারণে তাঁর মা এখন ভালো অনুভব করছেন বলে জানান কানাইয়ারাত খনক্রিট৷