1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রসঙ্গ : নারীর সঙ্গে করমর্দন

কার্লা ব্লাইকার / এআই২৪ জুলাই ২০১৬

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে এক ইমাম এক স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে করমর্দনে অস্বীকৃতি জানান৷ ফলে শিক্ষিকা ইমামকে বলেন, ‘নারীবিদ্বেষী এবং জার্মান জীবনে অভ্যস্ত হতে অক্ষম ব্যক্তি'৷ বিষয়টি বহুদূর গড়িয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1JTCJ
হ্যান্ডশেক
ছবি: Fotolia/Andres Rodriguez

জার্মানি এবং ইউরোপে ‘হ্যান্ডশেক' বা করমর্দন সহকর্মী এবং পরিচিতদের মধ্যে অভিবাদনের সবচেয়ে প্রচলিত উপায়৷ কিন্তু সাম্প্রতিক এক ঘটনা করমর্দন নিয়ে একদিকে সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার এবং অন্যদিকে যৌনবৈষম্যের বিতর্ক সৃষ্টি করেছে৷ এক শিয়া ইমাম গত ৩০ মে তাঁর সন্তানের স্কুলটিচারের সঙ্গে বৈঠকে করমর্দনে অস্বীকৃতি জানান৷ এরপর শিক্ষিকা বৈঠক তৎক্ষনাৎ শেষ করে ইমামকে দু'কথা শুনিয়ে দেন৷ পরবর্তীতে স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চাইলেও সেই ইমাম তা গ্রহণ করেননি৷

তুরস্কের পূর্বাঞ্চল থেকে আসা ইমামের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থার সাজিয়া সালাজ বলেন, ‘‘(করমর্দনে অস্বীকৃতি জানানোর সময়) ইমাম তাঁর হৃদয়ের উপর হাত দিয়ে বলেছিলেন, ‘দয়া করে মাফ করবেন, আমি ধর্মীয় কারণে করমর্দন করতে পারছি না৷' আমার মক্কেল উদ্ধত কোনো আচরণ প্রদর্শনের চেষ্টা করেননি৷''

এদিকে ঘটনার পর ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেয়া ছাড়া আর কোনো কিছু জানায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ একটি মিডিয়া এজেন্সির মাধ্যমে গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো সেই চিঠি এখন সবাই দেখতে পাচ্ছে৷ চিঠিতে ইমামের সন্তান গ্রীষ্মের ছুটির পর আর সেই স্কুলে ফিরবে না বলে নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ইমাম প্রয়োজন মনে করলে আলোচনার জন্য আবারো স্কুলে যেতে পারেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷

তবে সালাজ জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল ক্ষমা প্রার্থনার চিঠিটি গুরুত্ব সহকারে নিতে পারছেন না, কেননা, যে শিক্ষিকা তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন, তিনি সরাসরি চিঠিটি পাঠাননি৷ পাশাপাশি চিঠিতে সন্তানের বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়নি বলেও মনে করেন তিনি৷ সালাজ মনে করেন, স্কুলের উচিত ইমামের সন্তানকে সরাসরি জানানো যে, তার বাবার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে সেটা ভুল ছিল৷

এদিকে, অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিঠিটি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে৷ কেউ কেউ মনে করছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ যৌনবৈষম্য ইস্যুতে শক্ত অবস্থান না নিয়ে পিছু হঠেছে৷

সালাজ অবশ্য ধর্ষণ বিষয়ক সাম্প্রতিক আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘‘প্রত্যেকের নিজের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তিনি শারীরিক স্পর্শ চান, নাকি চান না৷ ‘না মানে না' - এটা আমরা এখন জার্মানিতে আলোচনা করছি৷''

নারীর সঙ্গে পুরুষের করমর্দনের বিষয়টি ইসলামে নিষিদ্ধ কিনা সেটা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে৷ ফ্রাইবুর্গের ইসলাম বিশেষজ্ঞ আব্দেল-হাকিম উরঘুই এ বিষয়ে বলেন, ‘‘সমগ্র কোরআনের কোথাও একটি লাইন নেই যেখানে একজন পুরুষকে একজন অপরিচিত নারীকে সম্ভাষণ জানাতে নিষেধ করা হয়েছে৷ করমর্দনের মাধ্যমে একে অপরকে অভ্যর্থনা জানানো পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার লক্ষণ৷ সেটা না করা অবজ্ঞার লক্ষণ৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য