1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নাগরিকত্ব বিল অগণতান্ত্রিক’

১০ ডিসেম্বর ২০১৯

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অগণতান্ত্রিক। এর ফলে ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার ঐতিহ্য ব্যাহত হবে। দাবি এক মার্কিন ধর্মীয় অধিকার রক্ষার সংস্থার। বিবৃতি দিয়ে মার্কিন সরকারের কাছে অমিত শাহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানালো তারা।

https://p.dw.com/p/3UWIB
ছবি: Reuters

দেশের ভিতর বিরোধিতা ছিলই। এ বার দেশের বাইরেও বিরোধিতার মুখে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। সোমবারই ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষে যে বিল পাস করেছে সরকার। আগামী বুধবার তা সংসদের উচ্চকক্ষ, রাজ্যসভায় পেশ হওয়ার কথা।

সোমবার সংসদের নিম্নকক্ষ, অর্থাৎ লোকসভায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন বিলটি পড়ে শোনাচ্ছেন, ঠিক তখনই অ্যামেরিকার একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় অধিকার বিষয়ক সংস্থা বিবৃতি দিয়ে জানায়, এই বিল পাশ হলে তা হবে ভারতীয় ঐতিহ্যের বিরোধী। এই বিলের জন্য অমিত শাহ এবং তাঁর পারিষদদের বিরুদ্ধে অ্যামেরিকার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

সংস্থাটির দাবি, বরাবর ভারতীয় সংবিধান সবার উপর ধর্মনিরপেক্ষতাকে স্থান দিয়েছে। ভারত সব সময়েই ধর্মীয় সাম্যের কথা বলেছে এবং বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। কিন্তু নতুন এই বিল পাশ হলে তা ভারতীয় বহুত্ববাদের পরিপন্থী হবে। কড়া ভাষায় বিলটির বিরোধিতা করে সংস্থাটি দাবি করেছে, এর ফলে ভারত ভুল পথে চালিত হতে শুরু করবে। এবং সে কারণেই শাহ এবং তাঁর দলের অন্যান্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

ঠিক এই কথাগুলিই এতদিন ধরে বলে চলেছে দেশের বিজেপি বিরোধী শক্তি। প্রশ্ন উঠছে, ভারতের মতো ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে আদৌ কি এ ভাবে ধর্মের ভিত্তিতেকোনও আইন প্রনয়ণ করা যায়? শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলির ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং আক্রান্ত মানুষদের কথা ভেবেই যদি এই আইন করা হয়, তা হলে সেখানে আর এক প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের উল্লেখ থাকছে না কেন? কী কারণে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বিষয়ে এত নিষ্ক্রিয় নরেন্দ্র মোদীর সরকার? কেন তাদের এ দেশে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না? প্রশ্ন অনেক।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সংসদে মোদী সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এতটাই বেশি যে বিরোধীদের শত আপত্তিতেও কাজ হবে না। রাজ্যসভাতেও তারা এই বিল পাশ করিয়ে নেবে। প্রশ্ন হল, এই বিল পাশ হলে আন্তর্জাতিক মহল কি সত্যিই ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে? অতীতে কাশ্মীর প্রশ্নেও এই একই দাবি তুলেছিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অধিকার রক্ষার সংস্থা। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চায়নি। এ ক্ষেত্রেও তেমনই ঘটবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই/ইন্ডিয়া টুডে)