1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাক ডাকা থেকে স্বস্তি!

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৯ জুন ২০১৪

হালে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব ছিল গোটা ভারত৷ পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যে ‘‘রেল-রোখো’’ আন্দোলন চলে৷ তাই বর্ধিত রেল ভাড়াকে সহনশীল করতে রেল কর্তৃপক্ষ কিছু বাড়তি সুবিধা দেবার কথা ঘোষণা করেছে৷

https://p.dw.com/p/1CRv5
Indien - Delhi Metro
ছবি: Getty Images/Afp/Raveendran

রেলবোর্ড সম্প্রতি দূর পাল্লার ট্রেনে সফরকারী যাত্রীদের বাড়তি কিছু সুবিধা দেবে বলে জানিয়েছে৷ রাতে ট্রেনের সহযাত্রীদের নাক ডাকা অন্য যাত্রীদের কাছে বিরক্তির কারণ৷ পাশের যাত্রীর বিকট নাক ডাকার ফলে অন্য যাত্রীদের ঘুম মাথায় ওঠে৷ নাক ডাকার কারণে অন্য যাত্রীদের ঘুমের ব্যাঘাত যাতে কম করা যায়, তার জন্য রেলওয়ে যে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, এটা তারই এক অঙ্গ৷

Schlaflosigkeit Schnarchen
নাক ডাকা এক বড় সমস্যাছবি: Fotolia/Farina3000

রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান অরুনেন্দ্র কুমার বলেন, সংরক্ষিত আসনের টিকিটে রাত ৯টার পর সফরকারী যাত্রী সাধারণকে সহযাত্রীদের নাক ডাকার হাত থেকে বাঁচাতে ‘স্ন্যোর-ব্লকার' নামে এক বিশেষ উপকরণ দেয়া হবে, বিনা পয়সায়৷ দূর পাল্লার যাত্রীদের সফরকে আরামদায়ক করতে ভারতীয় রেলওয়ে যেসব বিষয়ের ওপর জোর দিচ্ছে ‘স্ন্যোর-ব্লকার' তার মধ্যে অন্যতম৷ দেখা গেছে, এমন কিছু যাত্রী আছেন যাঁরা তাঁদের বার্থে শোবার সঙ্গে সঙ্গেই বিচিত্র আওয়াজে নাক ডাকতে শুরু করেন৷ মারা পড়ে বেচারা পাশের যাত্রী৷ রাতভোর একরকম জেগেই কাটাতে হয়৷ এই নিয়ে লাগাতার অভিযোগ আসে রেলদপ্তরে বলেন রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান কুমার৷

কীভাবে কাজ করবে এটি?

এই প্রশ্নের উত্তরে কুমার বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই যন্ত্র হলো আদতে একটি ‘ইয়ার-বাডস'৷ ট্রেনে শোবার সময় কানে লাগালে সব রকম আওয়াজ থেকে মুক্তি৷ তাঁর দাবি, জার্মান টেকনিকে তৈরি এই যন্ত্র আশেপাশের আওয়াজকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কম করতে সক্ষম৷ রেলওয়ের পরিভাষায় তাই এর নাম দেয়া হয়েছে ‘স্ন্যোর-ব্লকার'৷ রাতে দূরপাল্লার ট্রেনে সফরকালে অন্যান্য আওয়াজের তুলনায় নাক ডাকার আওয়াজ সব থেকে বেশি অতিষ্ট করে তোলে৷ রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান কুমার আরো জানান, যাত্রীরা ট্রেনের টিকিট চেকারকে নিজের রিজার্ভেশন টিকিট দেখিয়ে এই যন্ত্র চেয়ে নিতে পারেন৷

যাত্রি সাধারণের স্বস্তি

রেলওয়ের এই হাল আমলের যন্ত্রের সাহায়্যে রাতের ট্রেন যাত্রীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাঁচবেন৷ নির্ঘুম রাতের বিভীষিকা থেকে মুক্তি পাবেন৷ রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার সংগঠনের সভাপতি ধীরেন কুমার বলেন, ‘‘আমরা খুশি৷ তবে ট্রেন সফরকে আরো আরামদায়ক করে তুলতে রেলের আরো কিছু পদক্ষেপ নেয়া দরকার৷'' দুরপাল্লার যাত্রী সুমিত সরকার মনে করেন,‘‘‘স্ন্যোর-ব্লকার' খুবই ভালো ব্যবস্থা৷ কিন্তু বর্ষাকালে ট্রেনের কামরায় একটা বিশ্রি দুর্গন্ধ হয়৷ সেটা দূর করারও একটা ব্যবস্থা থাকা উচিত৷'' সাধারণ মানুষ মনে করে, রেল ভাড়া বাড়ানোর সঙ্গে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য সেই অনুপাতে বাড়ানো দরকার৷

ভাড়া বাড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

রেলকর্তৃপক্ষ হালে যাত্রীভাড়া বাড়িয়েছে ১৪.২ শতাংশ৷ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের অনেকগুলি রাজ্য৷ মোদী সরকারের শরিক দল শিবসেনা পর্যন্ত এর বিরোধীতা করেছে এবং অবিলম্বে এই বৃদ্ধি প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সপ্তাহব্যাপী ‘পথ অবরোধ' কর্মসূচি পালন করে৷ নিত্যযাত্রীদের মুখ চেয়ে রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিত্যযাত্রীদের ট্রেনভাড়া বাড়াননি৷ আগের ভাড়াই রেখেছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য