নাইমা ও তামান্নার সাফল্যের মুকুটে আরেকটি পালক
আবার ইতিহাসে নাম লেখাচ্ছেন নাইমা হক ও তামান্না-ই-লুৎফী৷ বাংলাদেশের প্রথম নারী বৈমানিক হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিচ্ছেন বিমান বাহিনীর এই দুই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট৷ এবার কঙ্গোর আকাশে উড়বেন তাঁরা৷
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম নারী বৈমানিক
বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তার সন্তান তামান্না-ই-লুৎফী এবং কৃষিবিদের সন্তান নাইমা হক ছোটবেলা থেকেই আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখতেন৷ ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর যশোরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে কঠিন এক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের প্রথম সামরিক নারী পাইলটের স্বীকৃতি পান তাঁরা৷
জন্ম ও লেখাপড়া
তামান্নার জন্ম যশোরে, ১৯৯৩ সালের ৫ জুন৷ নাঈমা তাঁর চেয়ে তিন বছরের বড়৷ তাঁর জন্ম ঢাকায়, ১৯৯০ সালে ২০ জুন৷ দু’জনই বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস থেকে বিমানচালনায় স্নাতক করেছেন৷
এবার আরো দূরের আকাশ
বিমানবাহিনীর পাইলট হিসেবে এতদিন শুধু বাংলাদেশের আকাশসীমার মধ্যেই উড়েছেন৷ তবে এবার যাবেন কঙ্গোতে৷ বৃহস্পতিবার রাতে সাব সাহারান দেশটির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করছেন তাঁরা৷
পরিবারে উদ্বেগ
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা প্রথমবারের মতো শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিয়েছিলেন ১৪ বছর আগে৷ এর সাত বছর পর থেকে নারী কর্মকর্তারাও শান্তি মিশনে যোগ দিচ্ছেন৷ তা সত্ত্বেও নাঈমা এবং তামান্নার পরিবার তাঁদের নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ তবে সুদক্ষ দুই পাইলটের মনে কোনো দ্বিধা বা ভয় নেই৷ বাংলাদেশের অহংকার এই দুই তরুণী মনে করছেন, এতদিনের অভিজ্ঞতা বিফলে যাবে না এবং কঙ্গোতে তাঁরা সহজেই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন৷
কী করবেন সেখানে?
ডেইলি স্টারের তথ্য অনুযায়ী, নাইমা এবং তামান্না কঙ্গোতে গিয়ে জরুরি পরিস্থিতিতে হেলিকপ্টারে করে বিভিন্ন স্থানে রোগীদের কাছে ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেবেন৷
এক বছরের মিশন
বৃহস্পিতবার রাতে কঙ্গো যাচ্ছেন নাইমা হক ও তামান্না-ই-লুৎফী৷ আপাতত এক বছরের জন্য সেখানে যাচ্ছেন তাঁরা৷
অটুট থাকুক দেশের সুনাম
বাংলাদেশ দীর্ঘ দিন ধরে সুনামের সঙ্গেই জাতিসংঘ শান্তি মিশনে অংশ নিচ্ছে৷ সেই সুনাম বজায় রেখে বিশ্বসভায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করতে চান নাইমা এবং তামান্না৷