1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাইজেরিয়ায় জঙ্গি হামলা, বন্দি একশ

২০ আগস্ট ২০২০

উত্তর পূর্ব নাইজেরিয়ায় জঙ্গি হামলায় একশরও বেশি মানুষ পণবন্দি। বোকো হারামের সহযোগী গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে।

https://p.dw.com/p/3hDdZ
ছবি: Getty Images/AFP/Stringer

একশরও বেশি মানুষকে পণবন্দি করে নিয়ে গেল নাইজেরিয়ার জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স। বোকো হারামের সহযোগী সংগঠন এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি। নাইজেরিয়ার সময় মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। নাইজেরিয়ার উত্তর পূর্বে লেক চাঁদ অঞ্চলের কুকাওয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

কুকাওয়া বরাবরই জঙ্গি হামলার শিকার। এর আগেও বোকো হারাম এবং ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স একাধিক বার এই অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। সব চেয়ে বড় হামলা চালানো হয়েছিল ২০১৮ সালে। কার্যত গোটা এলাকা খালি করে দিয়েছিল জঙ্গিরা। হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় শিবিরে গিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রায় দুই বছর সে ভাবে কাটানোর পরে এ বছরই ফের নিজেদের গ্রামে ফিরে এসেছিলেন সাধারণ মানুষ। সরকার গোটা এলাকায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল। এলাকায় তৈরি হয়েছে একাধিক নিরাপত্তা চৌকি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নাইজেরিয়ার সময় মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ ২২টি পিকআপ ট্রাকে করে এলাকায় ঢোকে জঙ্গিরা। নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ছুড়তে থাকে তারা। কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে তারা। লুঠ করা হয় ঘর বাড়ি সম্পত্তি। মারধর করা হয় স্থানীয় মানুষকে। তারপর একশরও বেশি মানুষকে বন্দি করে চলে যায় তারা।

বোকো হারামের মতোই ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স একটি উগ্র জঙ্গি সংগঠন। ইসলামের শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করাই তাদের লক্ষ্য। গত দশ বছরে নাইজেরিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে তারা নাশকতামূলক কাজ করেছে। কয়েক হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। লেক চাঁদ অঞ্চলে তাদের ক্ষমতা গত কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়েছে।

জাতি সংঘের পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় এক কোটি মানুষ গৃহহীনঅবস্থায় আছেন এই অঞ্চলে। বেঁচে থাকার জন্য সব রকম সাহায্য তাঁদের দেওয়া প্রয়োজন। বস্তুত, গৃহহীন এই মানুষদের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে নাইজেরিয়ার সরকার। অনেককেই আশ্রয় শিবির থেকে গ্রামে ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলির বক্তব্য, গ্রামে ফিরে যাওয়া এখনও নিরাপদ নয়। গ্রামে ফিরলে কী হতে পারে, মঙ্গলবারের ঘটনাই তার প্রমাণ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)