1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণহত্যাকারীর বাবার অনুতাপ

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪

২০১১ সালের ২২শে জুলাই আন্ডার্স বেরিং ব্রাইভিক প্রথমে একটি বোমা ফাটিয়ে এবং পরে গুলি চালিয়ে ৭৭ জন মানুষের প্রাণ নেয়, যাদের অধিকাংশ ছিল কিশোর-কিশোরী৷ গত বৃহস্পতিবার তারই বাবা ইয়েন্স ব্রাইভিক একটি সংবাদ সম্মেলন করেন৷

https://p.dw.com/p/1DG8J
এই উটোইয়া দ্বীপে ৬৯ জনকে হত্যা করা হয়ছবি: picture-alliance/dpa

২০১১ সালে ব্রাইভিক নিজেকে বলত ‘‘জঙ্গি জাতীয়তাবাদী''৷ সে নাকি ইউরোপ থেকে সব মুসলিমকে বিতাড়ন করবে৷ নরওয়ের সরকারি নীতি ও সমাজের প্রতি নিজের প্রতিবাদ ব্যক্ত করার এক ভয়াবহ পন্থা বেছে নেয় ব্রাইভিক: প্রথমে রাজধানী অসলোর মন্ত্রণালয় এলাকায় একটি শক্তিশালী গাড়ি বোমা ফাটায় – যে বিস্ফোরণে আটজন মানুষ প্রাণ হারায়; তারপর সে উটোইয়া দ্বীপে গিয়ে একটি সামার ক্যাম্পের জন্য আগত কিশোর-কিশোরীদের দিকে গুলি চালিয়ে তাদের ৬৯ জনকে হত্যা করে৷ সামার ক্যাম্পের উদ্যোক্তা ছিল একটি বাম-ঘেঁষা যুব সংগঠন৷

Urteil gegen Breivik in Oslo
আন্ডার্স বেরিং ব্রাইভিককে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালতছবি: Reuters

তারপর ব্রাইভিকের বিচার হয়েছে এবং তাকে ২১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে, যে দণ্ড শেষ হলেও তার মুক্তি পাবার সম্ভাবনা কম৷ ব্রাইভিক কিন্তু গত মাসে মিডিয়ার কাছে একাধিক চিঠি লিখে জানিয়েছে যে, সে তার সশস্ত্র সংগ্রাম পরিত্যাগ করেছে এবং গণতন্ত্রে তার আস্থা ফিরে পেয়েছে৷ এর কারণ: গ্রিসে নাৎসি-অনুপ্রাণিত গোল্ডেন ডন দলটির নির্বাচনি সাফল্য৷ ব্রাইভিক নিজেও নাকি কারাগার থেকেই তার নিজের ফ্যাসিস্ট দল গঠন করতে চায়৷ এপি সংবাদ সংস্থাকে পাঠানো ১৮ই আগস্টের একটি চিঠিতে ব্রাইভিক তার নিজের ‘‘বর্বরতার'' জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে – অপরদিকে বলেছে যে, তার প্রধান দুঃখ এ জন্য যে, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামেও বর্বরতা কাজে লাগে৷

খুনি ছেলে

আন্ডার্স ব্রাইভিকের বাবা ইয়েন্স ব্রাইভিক একজন নরওয়েজীয় কূটনীতিক৷ তিনি পরে অপর একটি বিবাহ করে ফ্রান্সে অভিবাসী হন৷ ব্রাইভিক অসলোয় মা-র কাছে মানুষ হয়৷ বাবার সঙ্গে বছরে বার দুই-তিন দেখা হতো বটে, কিন্তু তার ১৬ বছর বয়স হবার পর থেকে সেই সংযোগসূত্রটুকুও বিচ্ছিন্ন হয়৷ তবে ইয়েন্স ব্রাইভিকের পক্ষে এটুকু বলা চলতে পারে যে, বিবাহবিচ্ছেদের সময় তিনি ব্রাইভিকের দেখাশোনার ভার পেতে চেয়েছিলেন এবং আদালতেও গেছিলেন৷ আজও তাঁর মনে হয়, তাঁর যদি ব্রাইভিকের সঙ্গে আরো যোগাযোগ থাকত, তিনি যদি ‘‘আরো ভালো বাবা হতেন'', তাহলে ব্রাইভিক হয়ত একটা অন্য মানুষ হতো৷

এমনকি ইয়েন্স সম্প্রতি অসলোর কারাগারে ছেলের সঙ্গে দেখা করার কথাও ভেবেছেন, কিন্তু ছেলে তাঁকে চিঠি মারফত জানিয়েছে যে, প্রথমে ইয়েন্সকে ফ্যাসিস্ট মতবাদে বিশ্বাসী হতে হবে৷ চিঠির ধরণ দেখে নাকি ইয়েন্সের ভয় লেগেছে৷ ব্রাইভিক জেলে আরো উগ্রপন্থি, আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, বলে তাঁর ধারণা৷ অপরদিকে: তাঁর নিজের সন্তান যে কী করে গণহত্যাকারী হয়ে উঠতে পারে, সেটা ইয়েন্সের কাছে আজও অবোধ্য৷

এসি/ডিজি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য