1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা কাটানোর উদ্দেশ্যে চলতি সপ্তাহে ব্রাসেলস যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ চরম অনিশ্চয়তার ফলে ব্রিটেনে বিনিয়োগ কমাচ্ছে নিসান৷ রানিকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাবার পরিকল্পনার কথাও শোনা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3Cfln
সংসদে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে
ছবি: Reuters/J. Taylor

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদের আর ২ মাসও সময় নেই৷ কিন্তু এখনো ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা কাটছে না৷ ব্রিটেনের সংসদ একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-কে ব্রাসেলসে পাঠিয়ে ব্রেক্সিট চুক্তিতে রদবদল করার নির্দেশ দিয়েছে৷ মূলত আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত সংক্রান্ত সীমানা নিয়ে বোঝাপড়াতেই সংসদের আপত্তি৷ ‘ব্যাকস্টপ' নামে পরিচিত এই আইনি বাধ্যবাধকতার বদলে ‘বিকল্প' ব্যবস্থা চায় সংসদ, যদিও এখনো পর্যন্ত সে বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার কোনো স্পষ্ট প্রস্তাব পেশ করতে পারেনি৷

এমন প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী মে রবিবার ইইউর সঙ্গে বোঝাপড়ার আশা প্রকাশ করেছেন৷ তিনি চলতি সপ্তাহে ব্রাসেলসে গিয়ে ‘প্র্যাগম্যাটিক' বা বাস্তবসম্মত সমাধানসূত্র খুঁজবেন বলে জানিয়েছেন৷ ‘সানডে টেলিগ্রাফ' সংবাদপত্রে তিনি এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করেন৷ মে দাবি করেন,তাঁর ঝুলিতে নতুন প্রস্তাব রয়েছে৷ মেয়াদ না বাড়িয়ে নির্ধারিত তারিখ, অর্থাৎ ২৯শে মে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে চান তিনি৷ 

ইইউ অবশ্য শুরু থেকেই সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, মূল ব্রেক্সিট চুক্তির মধ্যে কোনো রদবদল সম্ভব নয়৷ সাম্প্রদায়িক শান্তির স্বার্থে আইরিশ প্রজাতন্ত্র ও ব্রিটেনের উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশের স্থলসীমান্ত খোলা রাখতে ইইউ বদ্ধপরিকর৷ তাছাড়া ব্যাকস্টপ সংক্রান্ত কোনো পরিবর্তন যে ব্রিটিশ সংসদের অনুমোদন পাবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ ব্রিটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী লিয়াম ফক্স বলেছেন, ইইউ ব্রেক্সিট সংক্রান্ত আলোচনা আবার শুরু না করলে তা অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ হবে৷

আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোভেনি বলেন, ব্যাকস্টপের কোনো স্পষ্ট বিকল্প প্রস্তাব নেই৷ আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে সীমান্ত খোলা রাখার যে অস্পষ্ট প্রস্তাব ব্রিটেনে বারবার শোনা যাচ্ছে, তার কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই৷

ব্রিটেনের রাজনৈতিক অচলাবস্থার জের ধরে সে দেশের শিল্প-বাণিজ্য জগতে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের আশঙ্কা বাড়ছে৷ সরকারের প্রস্তুতির অভাবে চরম অরাজকতার আশঙ্কা করছে অনেক মহল৷ অসংখ্য কোম্পানি ২৯শে মার্চের পর শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতা সামলানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে দপ্তর সরিয়ে ব্রিটেন থেকে মূলধন সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান৷ জাপানের গাড়ি কোম্পানি নিসান ব্রিটেনে নতুন মডেলের এসইউভি গাড়ি উৎপাদনের পরিকল্পনা বাতিল করেছে৷

ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মধ্যেও ব্রেক্সিট নিয়ে মতপার্থক্য বাড়ছে৷ স্কটল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা স্টার্জেন সোমবার এক ভাষণে এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য রাখতে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ তাঁর মতে, ব্রিটেন এখনো ব্রেক্সিটের জন্য প্রস্তুত নয়৷ এই অবস্থায় স্কটল্যান্ডের স্বার্থরক্ষা সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন৷

ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনে নানা রকম প্রস্তুতির কথা শোনা যাচ্ছে৷ সানডে টাইমস সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী, ব্রেক্সিটের কারণে যদি দাঙ্গা বেঁধে যায় সে ক্ষেত্রে রানি এলিজাবেথসহ রাজপরিবারের সদস্যদের গোপন স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)