নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলে কঠোর জবাবের হুমকি
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০কোন দেশ ইরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করলে ইরানও তার সমুচিত জবাব দেবে৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ মঙ্গলবার এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, কেউ যদি ইরানের জন্য সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের উত্তর আগের মতো হবে না৷ বরং আমরা এমন কিছু করবো, যা তাদের জন্য দুঃখ বয়ে আনবে৷
আহমাদিনেজাদের মতে, জাতিসংঘের প্রস্তাবিত পরমাণু জ্বালানী বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনার সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি৷ তিনি বলেন, এমনকি আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরেনিয়াম বিনিময়েও রাজি আছি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদেরকে ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রদান করলে আমরা তাদেরকে বিনিময়ে ন্যায্য অর্থ দেব, অথবা তারা যদি চায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম তাদেরকে দেবো৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের সৌদি সফরের একদিন পর এই মন্তব্য করলেন আহমাদিনেজাদ৷ হিলারি ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে চীন যেন ভেটো না দেয়, সে বিষয়ে সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ-র সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন৷ তিনি ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি মধ্যপ্রাচ্যকে আরো অস্থির করে তুলবে বলে মত দেন৷ হিলারি বলেন, ইরান আই এ ই এ কে জানিয়েছে যে, উঁচু পর্যায়ে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রস্তুত করতে কাজ শুরু করবে তারা৷ এই ঘোষণা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উসকানিমুলক প্রকাশ্য অবাধ্যতা৷ ইরানের সরকার জানে যে, এর ফলে এই অঞ্চলে আরো অস্থিরতা তৈরি হবে এবং স্বাতন্ত্র্যবাদ বাড়াবে৷
এদিকে, জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিশেষ দূত গাব্রিয়েলা সালেভ দাবি করেছেন, ইরানের উপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান এখনো রহস্যময়৷ বিষয়টি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনাকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে৷
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আহমাদিনেজাদ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আই এ ই এ-র প্রস্তাবে রাজি হওয়ার বদলে দেশেই আরও সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনের নির্দেশ দেন৷ এরপর ইরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের লক্ষ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর তৎপরতা বেড়ে যায়৷ কিন্তু চীনের সম্মতি না থাকলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে ইরানের উপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ সম্ভব নয়৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন