নতুন জার্মান প্রেসিডেন্ট আজ শপথ নিচ্ছেন
২ জুলাই ২০১০এআরডি, জেডডিএফ, আরটিএল এবং স্যাট-ওয়ান: চারটি বড় সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন সংস্থার সঙ্গে নিঃসঙ্কোচে কথা বলেছেন মনোনীত জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ৷ তৃতীয় পর্বের ভোটে তাঁর নির্বাচনকে তিনি জার্মান সরকারের পরোক্ষ সমালোচনা বলে মানতে রাজি নন৷ বরং নির্বাচনী সভার প্রতিনিধিরা যে পার্টি হুইপে আবদ্ধ না থেকে, বিভিন্ন প্রার্থীদের মধ্যে তুলনা করতে পেরেছেন, সেটা তাঁর কাছে ‘‘আমাদের গণতন্ত্রের জন্য আদর্শস্বরূপ'', সরকারি জেডডিএফ টেলিভিশন সংস্থাকে বলেন ভুল্ফ৷
যুগপৎ তিনি তাঁর তারুণ্যের আরো একটি পরিচয় দেন, ফুটবলের সঙ্গে তুলনা করে৷ জার্মান সরকারকে বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে জার্মান ফুটবল একাদশের মতো৷ ‘‘জাতীয় একাদশ আমাদের দেখিয়েছে, টীমওয়ার্কের মাধ্যমে কি করা সম্ভব৷ সকলেই একসঙ্গে কাজ করে, পরষ্পরকে বল দেয় এবং শেষমেষ গোল করে৷ রাজনীতিকরা এ'থেকে কিছুটা শিখতে পারে,'' অপর সরকারি টেলিভিশন সংস্থা আএরডি'কে বলেন ভুল্ফ৷
ভুল্ফ ঘোষণা করেন যে, তিনি রাজনীতিতে তাঁর কণ্ঠ রাখবেন৷ যেমন আজ শুক্রবার তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে তিনি জার্মানির জনসংখ্যাগত সমস্যার কথা বলবেন৷ যেন তারই জের টেনে তিনি জেডডিএফ সাক্ষাৎকারে অভিবাসী-বহিরাগতদের আরো নিবিড়ভাবে সমাজের অঙ্গ করে তোলার সপক্ষে বক্তব্য রাখেন৷ প্রেসিডেন্টের রাজনীতি সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য: ‘‘ফেডারাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বভাবতই আমি রাজনৈতিকভাবে অংশ নেব, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রশ্নে, বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে - বিশেষ করে সেই সব প্রসঙ্গে, যেগুলি জাতীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়৷'' ঐ আরটিএল সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, ‘‘অপরদিকে আমি গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত, জনসাধারণের মধ্যে রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলির শিকড় নিয়ে চিন্তিত৷'' কাজেই তিনি রাজনীতিক এবং জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করতে চান৷
নতুন প্রেসিডেন্ট যেন এক নতুন চিন্তাধারা - এবং চিত্রকল্পের - আভাস দিয়েছেন জেডডিএফ'এ করা একটি মন্তব্যে: ‘‘আমরা অভিবাসী-বহিরাগত পটভূমিকার শিশুদের যথেষ্ট এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না, যে কারণে তারা স্কুলে ভালো ফল করে না৷ যেখানে জাতীয় একাদশে বোয়াটেং থেকে ওয়েজিল অবধি অন্তর্ভুক্তির কোনো সমস্যা নেই, সেখানে অন্যান্য ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা চলে না৷''
প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই