নতুন চেহারায় জার্মানির বিমান লুফটহানসা
কিছুদিনের মধ্যেই জার্মানির সবচেয়ে বড় বিমান সংস্থা লুফট হানসার বিমানের ডিজাইন বদলাচ্ছে৷ বদলে যাচ্ছে তাদের লোগো-ও৷ তবে এই প্রথম নয়,আগেও বহুবার বদলেছে তাদের বিমানের চেহারা৷ দেখে নেওয়া যাক একনজরে৷
৭ বছরের পরিকল্পনা
আসল বিমানের ছবি নয়৷ গ্রাফিক ডিজাইনে এমনই দেখতে লাগছে লুফটহানসার নতুন লোগো৷ বোয়িং ৭৪৭-৮ মডেলের বিমানে প্রথম ব্যবহার করা হবে এই লোগো৷ তবে বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, সমস্ত বিমানে এই লোগো তৈরি করতে প্রায় ৭ বছর লাগবে৷ তখন আর পরিচিত নীল-হলুদ লোগো দেখা যাবে না৷
লেজ দেখে যায় চেনা
বিমানের লেজের দিকে তাকালে নতুন লোগোর তফাৎটা বোঝা যাবে৷ নতুন লোগোয় নীলের উপর উড়ে যাচ্ছে হাঁস৷ ভাজা ডিমের কুসুমের মতো হলুদ অংশটা আর থাকছে না৷ বিমানের পেটের কাছেও আর ধূসর রং করা হবে না৷ তার জায়গায় ব্যবহার করা হবে সাদা রং৷
তারও আগে যেমন ছিল
ছবিতে দেখা যাচ্ছে বোয়িং ৭৩৭-১০০ বিমান৷ ১৯৬৮ সালে লুফটহানসা এই বিমান প্রথম ব্যবহার করে৷ মূলত এই রং এবং লোগোর উপর নির্ভর করেই পরবর্তীকালে লুফটহানসা তাদের ডিজাইন বদলেছে৷ কালো নাক, ধূসর পেট আর ডিমের কুসুমের উপর নীল হাঁস লেজে, এই ছিল সেই নকশার বৈশিষ্ট৷ এতদিনের ঐতিহ্য এবার ভাঙতে চলেছে লুফটহানসা৷
প্রথম যুগের চেহারা
প্রথম যুগে লুফটহানসার বিমান একেবারে অন্যরকম ছিল৷ এখনকার সঙ্গে তার কোনো তুলনাই চলে না৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ‘জাংকার ২৪’ মডেলের বিমান৷ সেখানে অবশ্য লোগোতে হলুদ রঙের কোনো ব্যবহার ছিল না৷ বিমানের পাশে বাসের দিকে চোখ সরালে দেখা যাবে তার গায়ে আঁকা আছে হাঁস৷ অপূর্ব সেই পাখিটির লোগো প্রথম তৈরি করেছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী ওট্টো ফিরলে৷
যুদ্ধের আগে কর্পোরেট নকশা
বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগে এ ধরনের বিমান বাজারে এনেছিল লুফটহানসা৷ কালো রঙের নাক, ইঞ্জিনের রং-ও কালো৷ বিমানের গায়ে লেখা কোম্পানির নাম৷ তখনো বিমানের গায়ে লোগো ব্যবহার শুরু হয়নি৷
১৯৬০ সালের নকশা
এই সময়ে বিমানের নকশায় প্রচুর পরিবর্তন আসে৷ ছবিতে যে বিমানটি দেখা যাচ্ছে, সেটি ‘ভাইকার্স ভি-৮১৪ ভিসকাউন্ট’ মডেলের৷ লেজে হাঁসের লোগো থাকলেও তা এখনকার মতো বড় নয়৷ ‘লুফটহানসা’ শব্দটিও অনেক বড় অক্ষরে লেখা৷
বিশ্বজয়ের বিমান
২০১৪ সালে জার্মানি ব্রাজিল ফিফা বিশ্বকাপ জেতার পর এই বিমানে করে ফুটবলারদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়৷ বিমানের গায়ে আঁকা হয় বিশেষ ছবি৷ সেখানে জার্মানির বিশ্বজয় মনে রেখে নকশা আঁকা হয়৷ বিমানটি বার্লিনে ল্যান্ড করার আগে বার্লিন পার্কের ওপর একবার চক্করও খায়৷
জ্বালানি বদল, কিন্তু নকশা এক
‘এ ৩২১’ মডেলের বিমান এটি৷ এই বিমানে প্রথম ভেষজ উদ্ভিদ থেকে তৈরি তেল ব্যবহার করা হয় জ্বালানি হিসেবে৷ বাদবাকি নকশা এক থাকলেও বিমানের গায়ে লিখে দেওয়া হয় ‘লুফটহানসা বায়ো ফুয়েল পাওয়ার’৷
সবকিছু নতুন
নকশার বদল মানে কেবল লেজ বা নাকের নকশার পরিবর্তন নয়, বিমানের ভিতরের প্রতিটি ব্যবহার্য জিনিসেরও নকশা বদল করতে হয়৷ লুফটহানসাও বারবার তা করেছে৷