রত্নের চাহিদা
২৬ জুলাই ২০১৩অ্যামেরিকার ফ্লোরিডা রাজ্যের সারাসোটায় কৃত্রিম হীরা উৎপাদন করা হয়৷ একটি ধাতব চেম্বারে ‘ডায়মন্ড সিড' হিসাবে পরিচিত হীরার ক্ষুদ্র টুকরা এবং কার্বন একত্রে জমা করে সেটি চুল্লিতে ঢোকানো হয়৷ তাপমাত্রা একেবারে পথিবীর মধ্যভাগের মতো৷ তিন হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পঞ্চাশ হাজার বায়ুমণ্ডলের সমান চাপে গ্রাফাইট হীরায় পরিণত হয়৷ কারখানায় এভাবে ৮২ ঘণ্টার মধ্যে ডায়মন্ড সিড থেকে অমসৃণ হীরা তৈরি হয়৷ তারপর তা অ্যাসিডে ধোয়া হয়৷
কৃত্রিম হীরা তৈরির এই অত্যাধুনিক উপায় আবিষ্কার করেছেন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা৷ অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন জেনারেল কার্টার ক্লার্ক এই পদ্ধতিতে হীরার তৈরির ব্যবসায়িক অনুমতি নিয়েছেন৷ তাঁর প্রতিষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হচ্ছে হলুদ হীরা৷ বিরল এই হীরার ক্যারেট প্রতি মূল্য ১৫ থেকে বিশ হাজার ইউরো৷ তবে ক্লার্ক চার হাজার ইউরো মূল্যের কৃত্রিম হীরাও বিক্রি করেন৷ রত্নপ্রেমীরা এসব কৃত্রিম হীরার প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন৷
মানুষের চোখ কার্যত কৃত্রিম হীরা আর আসল হীরার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারেনা৷ শুধুমাত্র বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে এই দুই ধরনের হীরার মধ্যকার ব্যবধান শনাক্ত করা সম্ভব৷ কৃত্রিম হীরা চেনা যায় তার কাঠামোর সমান গঠন দেখে৷ প্রাকৃতিক হীরার গঠনে সেই সামঞ্জস্য নেই৷
রত্ন বিশেষজ্ঞরা কৃত্রিম হীরার এই নিয়মিত গঠনকে ত্রুটিপূর্ণ মনে করলেও এই শিল্পক্ষেত্রে কিন্তু এ বিষয়ে উৎসাহের অভাব নেই৷ কেননা এ সব হীরার গঠন এবং বিভিন্ন ফিচার বাহ্যিকভাবে ক্রুটিমুক্ত৷
জার্মানির উল্ম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এমন এক উপায় বের করেছেন যা ব্যবহার করে যে কোন পদার্থের উপর হীরার অত্যন্ত পাতলা প্রলেপ দেওয়া সম্ভব৷ যেমন চোখের সার্জারির জন্য প্রয়োজনীয় ন্যানো ছুরি৷ এটি এতই ক্ষুদ্র যে, তা গিনিস বুক অফ রেকর্ডস-এ স্থান পেয়েছে৷
ফ্যাক্টরিতে তৈরি হীরা কোটি কোটি ইউরোর এই রত্ন শিল্পে বিপ্লব আনছে৷ কেননা স্বল্প বাজেটের রত্নপ্রেমীরাও এ সব হীরা কিনতে সক্ষম হচ্ছেন৷ পাশাপাশি শিল্পখাতেও এখন হীরা ব্যবহার সহজ হচ্ছে৷
এআই / এসবি