ধূমপান ছাড়তে চাইলে ই-সিগারেটের সাহায্য নিন
ধূমপানের অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা কত কঠিন তা কেবল ধূমপায়ীরাই জানেন৷ তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেটের বাষ্প নাকি ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে৷ আরো থাকছে ছবিঘরে৷
ই-সিগারেটের কেন ?
ধূমাপান ক্ষতিকর তা জেনেও অনেকেই ধূমপান করে৷ তবে ধূমপানের মতো বদঅভ্যাস ছাড়ার জন্য নাকি অন্য কোনো অভ্যাসের সাহায্য নিলে তা অনেক সহজ হতে পারে৷ আর এক্ষেত্রে সাময়িকভাবে তা হতে পারে ই-সিগারেট৷ চিকিৎসকদের এই পরামর্শ মেনে বহু ধূমপায়ীই সফল হয়েছেন৷
ছাড়ার জন্য শুরু করা
ইলেকট্রনিক সিগারেটের বাষ্পের মাধ্যমে ইউরোপের শতকরা ৬৭ ভাগ মানুষের ধূমপান ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে৷ আর তাদের মধ্যে আংশিক পুরোপুরি ধূমপান ছেড়েছেন আর বাকিরা পুরোপুরি না হলেও ধূমপান করা অনেকটাই কমাতে পেরেছেন৷ একথা জানান, বার্লিনের ফুসফুস রোগের বিশেষজ্ঞ ডা. টোমাস হেয়ারিং৷
ই-সিগারেটের বাষ্প কম ক্ষতিকর
ইংল্যান্ডে সিগারেট ছাড়ার জন্য অনেক চিকিৎসক সরাসরি ই-সিগারেট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন৷ কারণ, সিগারেটের ধোঁয়ার চেয়ে ই-সিগারেটের বাষ্প অনেক কম ক্ষতিকর৷ তাছাড়া ই-সিগারেটের সাহায্যে ধূমপান ছাড়া নাকি সহজ হচ্ছে৷
মৃত্যুহার অনেক কমে যেতো
যদি সকল ধূমপায়ী সিগারেটের পরিবর্তে ই-সিগারেটের বাষ্প পান করতেন তাহলে হয়তো প্রতিবছর ১২.০০০০ মানুষের পরিবর্তে মাত্র ৬০০০ ধূমপায়ী মারা যেতেন৷ জানান ডা.হেয়ারিং৷
ই-সিগারেটের সুবিধা
শুধু তাই নয়, ই-সিগারেটের ক্ষেত্রে নিকোটিনের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমানো যায়৷ আর এতে সিগারেটের ওপর শরীরের নির্ভরতাও আস্তে আস্তে কমতে থাকে৷ ধূমপান পুরোপুরি ছাড়ার জন্য এটাকে অন্তত প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে বলে তাঁরা মনে করেন৷
ই-সিগারেটে ক্ষতি কম হওয়ার আরেকটি কারণ
ইলেকট্রনিক বা ই-সিগারেটে যেহেতু তামাক দেয়া হয় না, কাজেই তা থেকে কম টক্সিন তৈরি হয়ে থাকে৷