1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোদী-ওবামা বৈঠক

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৬ জুন ২০১৪

আগামী সেপ্টেম্বরে বসতে চলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক৷ যেহেতু এটা পার্শ্ব বৈঠক নয়, পূর্ণাঙ্গ বৈঠক, তাই সেটা হবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে৷

https://p.dw.com/p/1CDBY
Obama Rede in Warschau 04.06.2014
বারাক ওবামাছবি: Reuters

অবশেষে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ওয়াশিংটনে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন ভারতের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ বলা বাহুল্য, বিশ্বের দুই বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে দীর্ঘ মন-কষাকষি দূরে সরিয়ে সম্পর্কের বরফ গলাতে উদ্যোগী হয়েছে উভয় দেশ৷ এবং সেটা নিজেদের জাতীয় স্বার্থেই৷ তাই ওবামার আমন্ত্রণ গ্রহণ করা পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে মোদীর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন দিল্লির কূটনৈতিক মহল৷ বলছেন, মোদী বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, দেশ বা আন্তর্জাতিক স্বার্থে ব্যক্তিগত ‘ইগো' দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বাধা হতে পারে না৷ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পরস্পরের পরিপূরক৷ বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সমুদ্রে এবং ভারতের অরুণাচল প্রদেশসহ গোটা এশিয়ায় চীনের হম্বিতম্বির মোকাবিলা করতে হলে শক্তির ভারসাম্য অত্যন্ত জরুরি৷ আর এ জন্য দরকার ভারত-মার্কিন শক্তির সমন্বয়৷ ভারতের কৌশলগত কাঠামোয় যুক্তরাষ্ট্রের যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, মোদীর সিদ্ধান্তে সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা৷

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ি কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র নীতিতে নতুনত্ব কিছু দেখতে পাচ্ছেন না৷ ডয়চে ভেলেকে উনি বলেন, ‘‘বিশ্বায়নের যুগে এটা ভারতের পররাষ্ট্র নীতির ধারাবাহিকতা ছাড়া আর কিছু নয়৷ নীতিগতভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হবে না৷''

নিরাপত্তা ও ব্যবসা-বাণিজ্য সামগ্রিকভাবে বিশ্ব নীতির অঙ্গ৷ এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক লাহিড়ি ভারত-মার্কিন বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তির উল্লেখ করে বলেন, ‘‘মনমোহন সিং সরকারের সঙ্গে চুক্তি সই হওয়া সত্ত্বেও নিরাপত্তা সংক্রান্ত দায়বদ্ধতার কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি৷ সে বিষয়ে উভয় দেশের গ্রহণযোগ্য একটা সূত্র বের করতে পারলে ভারতে মার্কিন বিনিয়োগ বেড়ে যাবে বহুগুণ৷

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিতে মোদী যাচ্ছেন নিউ ইয়র্কে৷ কিন্তু ওবামার সঙ্গে যেহেতু এটা পার্শ্ব বৈঠক নয়, পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, তাই বৈঠক বসবে ওয়াশিংটনে৷ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে ওবামা তাঁর ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্যেই এ ধরণের বৈঠক করতে চাওয়ার গুরুত্বটা সহজবোধ্য৷ অবশ্য এই বৈঠকের প্রাথমিক প্রস্তুতিটা সেরে গেছেন ভারতে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েল৷

মোদী প্রধানমন্ত্রী হবার পর অনেকে মনে করেছিলেন যে, তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য ও নিরাপত্তার খাতিরে প্রথমে হাত বাড়াবেন চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের দিকে, অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে আশিয়ান দেশগুলির দিকে৷ তাই সবার আগে ওবামার সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন মোদী৷ ঠিক যেমন তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী সার্ক দেশগুলির সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়ে৷

প্রসঙ্গত, মোদী-ওবামা বৈঠক নিয়ে এতদিন সংশয় ছিল৷ কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলি ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার জন্য মোদীকে দায়ী করে ভারতের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য