দেশে ফিরতে চান না ভারতের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা
দিল্লির অদূরে হরিয়ানায় দেশের সবচেয়ে বড় রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ডয়চে ভেলের ক্যামেরায় তাদের জীবনযাপন।
পাশাপাশি পাঁচটি ক্যাম্প
দশ কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। একেকটি ক্যাম্পে একশ থেকে দেড়শ পরিবার থাকে। সব মিলিয়ে হাজার পাঁচেক রোহিঙ্গা শরণার্থী থাকেন এই ক্যাম্পগুলিতে।
জম্মু-দিল্লি-পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে
জম্মু, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লির ক্যাম্প ছেড়ে বহু রোহিঙ্গা হরিয়ানার ক্যাম্পে চলে এসেছেন। আরাবল্লি পর্বতের গায়ে মেওয়াতের নুহ অঞ্চলে এই ক্যাম্প।
নির্যাতন, ভয়
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অভিযোগ, জম্মুতে বহু শরণার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের উপর মানসিক অত্যাচারও হয়েছে। সে কারণেই ওই ক্যাম্প ছেড়ে তারা হরিয়ানায় চলে এসেছেন। এখানেও তাদের ক্যাম্পের বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। ক্যাম্পে কেউ গেলে, এমনকী, সাংবাদিক গেলেও পুলিশকে জানাতে হয়।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ
বৃষ্টির সময় ক্যাম্পের রাস্তায় এভাবেই কাঁদা জমে যায়। পাশের হাইড্রেনের জল ঢুকে যায় এলাকায়। চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবন কাটাকে হয়।
'মরলেও ফিরব না'
মিয়ানমারের প্রতি মুহূর্তের খবর রাখেন শরণার্থীরা। সেনা সরকার তৈরির পর তারা আরো ভয়ে। শরমার্থীদের বক্তব্য, না খেতে পেয়ে বিদেশে মরতে রাজি তারা। কিন্তু মিয়ানমারে গিয়ে আর আক্রমণের শিকার হতে চান না।
একটাই টয়লেট
গোটা শিবিরের জন্য মাত্র একটি টয়লেট। পাশের জঙ্গলে যেতে হয় নারী-পুরুষ সকলকেই।
মেয়েদের নানা রোগ
মাসিকের সময়েও মেয়েদের জঙ্গলে যেতে হয়। নানারকম রোগ ধরা পড়ছে তাদের। জাতিপুঞ্জের শরণার্থী সংক্রান্ত সংস্থা ইউএনএইচসিআর তাদের সাহায্য করতে চায় না বলে অভিযোগ।
সাহায্য করে না প্রশাসন
প্রশাসন শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখে না বলে অভিযোগ। সরকারি হাসপাতালেও অর্থের বিনিময়ে চিকিৎসা করাতে হয়।
ক্যাম্পের মসজিদ
ক্যাম্পের ভিতরেই আছে মসজিদ। ত্রিপলের চালের মসজিদে গিয়ে সকলে নামাজ পড়েন।
ক্যাম্পের মক্তব
মসজিদের পাশেই আছে একটি মক্তব। এক শরণার্থী সেখানে ক্যাম্পের বাচ্চাদের পড়াশোনা করান। মূলত ধর্মশিক্ষা দেওয়া হয়।
হাতে কোরান
কোরান হাতে দাঁড়িয়ে রোহিঙ্গা শিশু। ক্যাম্পে সকলের ঘরেই একটি করে কোরান আছে।
ভাঙা ঘর, ভাঙা শৈশব
শরণার্থীর শৈশব বড় ভয়ঙ্কর। অনিশ্চিত। তারই মধ্যে বাচ্চার জন্য ভাঙা সাইকেল নিয়ে এসেছেন বাবা।
দিদিমার আদর
বাড়ির দাওয়ায় নাতনিকে নিয়ে বসে আছেন দিদিমা। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শিক্ষা দিচ্ছেন।
মৃত্যুর অপেক্ষায়
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এই বৃদ্ধা মৃত্যুর দিন গুনছেন। আর বাঁচতে চান না তিনি।