1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রহ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কৌশল

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বিভিন্ন প্রান্তে কি পৃথিবীর মতো কোনো গ্রহ রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে একটি টেলিস্কোপ কক্ষপথ থেকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে৷ দূরের গ্রহগুলি সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করছে এই অভিযান৷

https://p.dw.com/p/3XZyI
Illustration eines Asteroides, der die Oberfläche des Planeten trifft
ছবি: Imago Images/Science Photo Library

পৃথিবীর বুকে টেলিস্কোপ নক্ষত্রের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে৷ কোনো গ্রহ সেটির নক্ষত্র প্রদক্ষিণ করার সময় গ্রহের অভিকর্ষ নক্ষত্রকে আকর্ষণ করে৷ তখন নক্ষত্র কিছুটা নড়াচড়া করে৷ তথাকথিত এই রেডিয়াল মুভমেন্টের মাধ্যমে এক্সোপ্ল্যানেটের ভর পরিমাপ করা যায়৷ জেনিভা বিশ্ববিদ্যালয়ের

দিদিয়ে কোয়েলস বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, ‘‘দুই পদ্ধতির মেলবন্ধন ঘটানো সম্ভব৷ নক্ষত্রের সামনে দিয়ে গ্রহ চলে যাবার সময় কিছু প্রণালী রেডিওভেলোসিটিও পরিমাপ করে৷ সে ক্ষেত্রে ভর ও আয়তন জানা যায়৷ তারপর তার ভিত্তিতে ঘনত্ব হিসেব করতে হয়৷ এভাবে গ্রহের চরিত্র সম্পর্কে জানা যায়৷''

দূরের এই সব মহাজাগতিক বস্তু কি বৃহস্পতি গ্রহের মতো গ্যাস দিয়ে তৈরি? নাকি পৃথিবী বা মঙ্গলগ্রহের মতো পাথর দিয়ে তৈরি? এই সব গ্রহ কি শুধু মহাসাগর বা বরফের চাদরে ঢাকা? এমন সব তথ্য জানতে পারলে বোঝা যাবে, কোনো গ্রহ বাসযোগ্য হতে পারে কিনা৷

দূরের গ্রহগুলির নিজস্ব বায়ুমণ্ডল রয়েছে কিনা, স্যাটেলাইট সেই তথ্যও জানার চেষ্টা করছে৷ সেটা জানতে নক্ষত্রের কাছে গ্রহের কক্ষপথ ও গ্রহের উপর নক্ষত্রের আলোকপাত বিশ্লেষণ করা হচ্ছে৷ দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্যও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷

আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলি যে সেগুলির বর্তমান অবস্থানে জন্মগ্রহণ করে নি, তা ইতোমধ্যেই জানা গেছে৷ প্রচলিত তত্ত্ব অনুযায়ী বিশাল মেঘের পুঞ্জ ঘনীভূত হলে এবং ঘূর্ণায়মান চাকতি সদ্য সৃষ্টি হওয়া নক্ষত্র প্রদক্ষিণ করলে গ্রহ সৃষ্টি হয়৷

সূর্য থেকে অনেক দূরে বৃহস্পতির মতো বিশালাকার গ্যাসভিত্তিক গ্রহ সৃষ্টি হয়েছে৷ চারিপাশের পরিবেশের কারণে থমকে গেলে এমন গ্রহ সূর্যের আরও কাছে এগিয়ে যায়৷ ভিতরের অংশে, যেখানে ধূলিকণা ঘনীভূত হয়ে পাথুরে কাঠামোয় পরিণত হয় – গ্রহ সেদিকে ধাবিত হয়৷ বিকাশের সময় গ্রহগুলি অনেক দূরত্ব অতিক্রম করে৷ কিয়প্স স্যাটেলাইট সেই গতিপথ চিহ্নিত করতেও যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করবে৷

এই স্যাটেলাইট এমনকি নতুন জগতও আবিষ্কার করতে পারে৷ হয়তো এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত এক্সোপ্ল্যানেটের তুলনায় ছোট গ্রহের অস্তিত্বের কথাও জানা যাবে৷ পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডলে ঢাকা পাথুরে গ্রহও খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

আগামী দশকগুলিতে একাধিক সুপার টেলিস্কোপ এমন সব দূরের গ্রহগুলি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত গবেষণা চালাবে৷ তখন হয়তো মানবজাতির অন্যতম মৌলিক প্রশ্নের উত্তরের আভাস পাওয়া যাবে৷

পৃথিবীর বাইরে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোনো প্রান্তে কি প্রাণের স্পন্দন রয়েছে?

কর্নেলিয়া বরমান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য