দুর্নীতি সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি, অবনতি
বৈশ্বিক দুর্নীতি ধারণা সূচকে দুই ধাপ অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের৷ আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দাবি, দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের করোনা মহামারিসেবা৷
দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়
দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০২০ অনুযায়ী, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ৷ এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তানে৷ তালিকায় বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের অবস্থান ৮৬তম আর পাকিস্তান রয়েছে ১২৪তম অবস্থানে৷
দুই ধাপ অবনতি
চলতি বছর দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান নীচের দিক থেকে ১২তম৷ অর্থাৎ, জরিপকৃত ১৮০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম৷ সূচকে গত বছরের সমান পয়েন্ট, অর্থাৎ, ২৬ পয়েন্ট পেলেও তালিকায় দুই ধাপ অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের৷
গত কয়েক বছরের চিত্র
গত কয়েক বছর ধরে দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি৷ বৈশ্বিক দুর্নীতির ধারণা সূচক বলছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল নীচের দিক থেকে ১৭তম, যা ২০১৮ সালে এসে দাঁড়ায় ১৩তম অবস্থানে৷ পরের বছর অর্থাৎ, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়ায় ১৪তম৷
‘দুর্নীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত করোনাসেবা’
টিআই বলছে, দুর্নীতির কারণে বিশ্বের অনেক দেশই করোনা মহামারি মোকাবিলায় সফল হতে পারেনি৷ বাংলাদেশের উদাহরণ দিয়ে সংস্থাটি জানায়, মেডিক্যাল সরঞ্জামাদি কেনাসহ স্বাস্থ্যখাতে নানারকম দুর্নীতির কারণে বাংলদেশের করোনা মোকাবিলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
যে কারণে বাড়ছে দুর্নীতি
চলতি বছরের প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংস্থাটির বাংলাদেশে নিযুক্ত নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, মত প্রকাশ ও গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতার অভাবসহ নানা কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে৷ তবে এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে সরকার৷
বৈশ্বিক পরিস্থিতি
চলতি বছরের তালিকায় বিশ্বে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে নাম এসেছে ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ডের৷ আর সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে আফ্রিকার দেশ সাউথ সুদান ও সোমালিয়া৷
আরআর/এসিবি (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, এপি)