দুর্নীতি বিরোধী লোকপাল বিল নিয়ে জটিলতা
২২ এপ্রিল ২০১১ভারতের জনসমাজকে দুর্নীতি মুক্ত করতে লোকপাল বিলের খসড়া রচনার জন্য সরকার ও নাগরিক সমাজকে নিয়ে গঠিত যৌথ কমিটিতে নাগরিক সমাজের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অপপ্রচারের প্রেক্ষিতে কমিটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে৷ নাগরিক সমাজের অন্যতম সদস্য সুপ্রীম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বর্তমানে কর্নাটক রাজ্যের লোকায়ুক্ত সন্তোষ হেগড়ে সম্পর্কে কংগ্রেস নেতা দিগবিজয় সিং মন্তব্য করেন যে, কর্নাটকের লোকায়ুক্ত হওয়া সত্বেও বিচারপতি হেগড়ে রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে একেবারে ব্যর্থ৷
এই ধরণের রাজনৈতিক অপপ্রচারে মর্মাহত বিচারপতি হেগড়ে যৌথ খসড়া কমিটি থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন৷ আগামীকাল কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন৷ কংগ্রেস নেতার অবাঞ্ছিত এই অপপ্রচারে তিনি মর্মাহত৷
এতে অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস পার্টি৷ দলের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেয়া হয় যে, লোকপাল বিল নিয়ে দলের মুখপাত্র ছাড়া অন্য কোন নেতা যেন কোন রকম মন্তব্য না করেন৷ বলা হয়, নাগরিক সমাজের মতো কংগ্রেসও দুর্নীতিরোধে সমান আন্তরিক৷ আত্মপক্ষ সমর্থনে দিগবিজয় সিং-এর জবাব, বিচারপতি হেগড়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেও তিনি যা বলেছেন তা প্রকৃত বাস্তব৷ লক্ষণীয়, সুশীল সমাজের কো-চেয়ারম্যান বিশিষ্ট আইনজীবী শান্তিভূষণের পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে কংগ্রেস দল নীরব৷ শান্তিভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সাংসদ অমর সিং৷ সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়েম সিং এবং অমর সিং-এর সঙ্গে টেলিফোন বার্তালাপে শান্তিভূষণ নাকি কয়েক বছর আগে দলত্যাগ বিরোধী এক মামলায় হাইকোর্টের বিচারককে প্রভাবিত করার কথা বলেছিলেন৷ সেই বার্তালাপের রেকর্ড করা সিডির প্রামাণিকতা নিয়ে চলেছে এখন জোর বিতর্ক৷ লোকপাল কমিটি থেকে শান্তিভূষণ ও তাঁর ছেলের পদত্যাগের জন্য চাপ আসছে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী