1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্নীতির বেড়াজালে ফুটবল সংগঠন ফিফা

১৯ অক্টোবর ২০১০

সর্ষের মধ্যেই ছিল ভুত৷ তার প্রমাণ মিলছে ধীরে ধীরে৷ ঘটনা ফিফায়৷ ফুটবলের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের ভোট কেনাবেচা হয়েছে দেদার৷ ব্যাপার বুঝে এবার তদন্ত শুরু হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/PhCH
নতুন সংকটের মুখে ব্লাটারছবি: AP

২০১৮ সালের বিশ্বকাপের ভোট কেনাবেচায় ফিফার শীর্ষ কর্তাদের অন্তত দুজন সামিল ছিলেন বলেই ধারণা হচ্ছে এখনও পর্যন্ত৷ দুজন, কারণ এই দুজনের বিরুদ্ধেই তদন্তের স্পষ্ট নির্দেশ মিলেছে সোমবার৷ ফিফার টপ কর্তা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার ঘটনার গুরুত্ব বুঝে রবিবারেই বলে দিয়েছিলেন, খতিয়ে তদন্ত হবে৷ সেই তদন্তে নেমে ফিফার প্রাথমিক লিখিত বিবৃতিতেই বলা হয়েছে একথা৷ ওই দুজন ফিফার নীতিমালা লংঘন করেছিলেন কিনা, তদন্তের শুরু হবে সেখান থেকেই৷ বলছে বিবৃতি৷

FIFA Logo
সর্ষের মধ্যেই ভুত আছে কিনা, তার তদন্ত হচ্ছেছবি: APTN

শীর্ষ পর্যায়ের ওই দুই কর্তা, যাঁরা আবার কার্যনির্বাহী কমিটিরও সদস্য, তাঁরা ছাড়াও নীচের দিকের কিছু সদস্য, কিছু সদস্য সংস্থার পদস্থ ব্যক্তি, কিছু বাণিজ্যিক সংস্থা, এমনধারা বেশ কিছু নামধাম শোনা যাচ্ছে৷ বোঝাই যাচ্ছে, কান টানা হলে মাথা আসবেই৷ এই দুর্নীতির শিকড় কতদূর পর্যন্ত পোঁতা রয়েছে, তা জানা যাবে তদন্ত আরও খানিকটা এগোনোর পরে৷

বিশ্বকাপের স্থান নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে সদস্য দেশগুলির মধ্যে ফিফা যে ভোটাভুটির আয়োজন করে থাকে তার নিয়মকানুন, সে বিষয়ে অন্য কোন তৃতীয়পক্ষের সঙ্গে করা কোনরকম চুক্তি এসবই নিয়মের লংঘন বলে সতর্ক ঘোষণা করে জানিয়ে রেখেছে ফিফা৷ প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার খোদ সেসব কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন৷ এদিকে ব্রিটিশ একটি পত্রিকা রোববারের সংস্করণে জানিয়েছে, নাইজিরিয়া আর ওশিয়ানিয়ার সদস্যরা নিজেদের ভোট বেচেছেন এমন প্রমাণ নাকি মিলে গেছে ইতিমধ্যেই৷ সব মিলিয়ে খেলা জমে গেছে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন