1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্ঘটনা রুখতে চালকের আসনে নারী

৮ নভেম্বর ২০১৮

রাস্তাঘাটে নিরাপত্তা বাড়াতে অভিনব উপায় বের করেছে ইন্দোনেশিয়ার ‘কুইনরাইডস’ সংস্থা৷ সে দেশের রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে তারা পুরুষদের বদলে নারীর হাতে তুলে দিচ্ছে গাড়ির স্টিয়ারিং৷

https://p.dw.com/p/37rgu
ছবি: Getty Images/AFP/Bay Ismoyo

জাকার্তার মেয়ে ইইম ফাহিমা ইয়াহিয়া নিজে গাড়ি চালাতে না জানলেও তাঁর সংস্থা ‘কুইনরাইডস’ ইন্দোনেশিয়ায় নারীদের গাড়ি চালাতে শেখাচ্ছে৷ ২০১৬ সালে শুরু হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই সংস্থায় গাড়ি চালানো শিখেছেন দুই লক্ষ নারী৷

‘কুইনরাইডস’-এ সদস্যদের জন্য যৌনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে নানা কর্মশালাও আয়োজন করা হয়৷

ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে রাস্তাঘাটে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা৷ সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১৭ সালে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ও ২০১৫ সালে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার জন মানুষ মারা যান সেখানে৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পথনিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ লিভিও ভেদ্রাসকোর মতে, পুরুষদের তুলনায় নারীরা রাস্তাঘাটে অনেক বেশি সতর্ক ও নিয়ম মেনে চলেন৷ সে কারণেই দেশে বাড়তে থাকা দুর্ঘটনা রুখতে ইইম বেছে নিয়েছেন একটি অভিনব উপায়৷ ‘কুইনরাইডস’ নারীদের গাড়ি চালাতে শেখানোর সাথে সাথে তাঁদের সঠিক লাইসেন্স ও পরীক্ষার ব্যবস্থা করে৷

ইন্দোনেশিয়ায় দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে ঘরে ঘরে বাড়ছে গাড়ি কেনার হিড়িক৷ সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নারীরা সেখানেও ঘরের কাজের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন কাজে৷ ফলে বাড়ছে রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা৷ নারীদের আহত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে৷

এই দুটি সমস্যাকেই দূর করার চেষ্টা করছে ‘কুইনরাইডস’৷

২০১২ সালে নির্ধারিত জাতিসংঘের স্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্যগুলির মধ্যে একটি হলো ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনাকে বর্তমান হারের অর্ধেকে নামিয়ে আনা৷

ইতিমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় নারী যান-চালকের সংখ্যা বাড়ায়, পরিবহন মন্ত্রক বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার সাথে মিলে এই হার কমানোর কাজ শুরু করেছে বলে জানান পরিবহন মন্ত্রকের ভূমি পরিবহন বিভাগের পরিচালক বুদি সেতিয়াডি৷

সেতিয়াডি বলেন, ‘‘ইন্দোনেশিয়ায় নারীদের নিরাপদে ও সঠিক নিয়ম মেনে গাড়ি চালাতে শেখানোর জন্য ‘কুইনরাইডস’-এর মতো সংস্থা প্রয়োজন৷’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘নারীরা এ বিষয়ে পরে তাঁদের সন্তান, পরিবার ও আশেপাশের মানুষদেরও এ বিষয়ে সচেতন করতে বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারেন৷’’

‘কুইনরাইডস’ ইন্দোনেশিয়ার অন্যান্য সংস্থার সাথে মিলে নারী অধিকার বিষয়ে নতুন প্রকল্প চালু করলে ব্যাংক মান্দিরি'র মতো প্রতিষ্ঠান তাতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত৷ ইইম জানান, আগামী তিন বছরে ‘কুইনরাইডস’কে পাঁচ লক্ষ সদস্যের বৃহত্তম নারী ক্ষমতায়ন মঞ্চ হিসাবে দাঁড় করাতে চান তিনি৷

তাঁর মতে, ‘‘ইন্দোনেশিয়া জয় করতে পারলেই বিশ্বের অন্য যে কোনো এলাকায় জয়লাভ করা সহজ৷ সতেরো হাজারেরও বেশি দ্বীপপুঞ্জে বিস্তৃত ইন্দোনেশিয়ায় রয়েছে অসংখ্য ভাষা ও সংস্কৃতি৷ ফলে ইন্দোনেশিয়া জয় করা একসাথে পাঁচটি দেশকে জয় করার সমান৷’’

নারীদের মধ্যে ‘কুইনরাইডস’-এ যোগ দেওয়ার ঝোঁক দ্রুত বাড়ছে৷ তাই এই সংস্থার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ইইম আশাবাদী৷

এসএস/এসিবি (রয়টার্স)

২৯ মে’র ছবিঘরটি দেখুন...