দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অর্থনীতি
বাঙালিদের অন্যতম প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো৷ বহু অর্থ খরচ করে এই উৎসব পালিত হয়৷ ফলে বাংলার অর্থনীতির সঙ্গেও জড়িয়ে গেছে এটি৷ গত বছর, এই খাতে আনুমানিক ৬০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়৷ এ বছরও সেই অঙ্কটা বাড়বে বই কমবে না৷
মণ্ডপশিল্প
দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরি হয় নানা নকশায়, নানা উপকরণে৷ অনেকসময়ই ভারতের বিভিন্ন ধর্মস্থানের অবিকল প্রতিনির্মাণ হয়৷
দক্ষ কারিগর
যে অসম্ভব দক্ষতায় কারিগরদের দল এক একটি মণ্ডপ মাসখানেকের মধ্যে তৈরি করেন, তা অবিশ্বাস্য৷ এই কারিগরেরা মূলত আসেন মেদিনীপুর জেলা থেকে৷
বহু উপকরণ
শোলা, পাট, প্লাইউড, কাঠ এরকম নানা উপকরণ ব্যবহার হয় মণ্ডপসজ্জায়৷ এমনকি আধুনিক ফাইবার গ্লাসও৷ পুজোর আগে বহু টাকার লেনদেন হয় এইসব ব্যবসায়৷
পুজোর বাজার
আর কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয় পুজোর কেনাকাটার সুবাদে৷ সারা বছর ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে থাকেন এই পুজোর বাজারের দিকে৷
রাস্তার সওদা
কলকাতা শহরের ফুটপাথজুড়ে হকারদের বেসাতি৷ পুজোর আগে সেই বাজার নেমে আসে রাস্তাতেও৷ যানজট হয়, অসুবিধে হয়৷ তবু মানিয়ে নেয় লোকে৷
বছরের আয়
জামা-কাপড় শিল্পের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সারা বছরের রোজগার হয়ে যায় এই একটা সময়ে৷ গেরস্থের বাৎসরিক খরিদ্দারির সময় যেহেতু এই পুজো৷
শাড়ির মেলা
বাংলার তাঁতিদের জন্যেও সুসময় এই পুজো৷ অন্তত একটা শাড়ি সব মহিলাই কেনার চেষ্টা করেন৷ সামর্থ থাকলে একাধিক৷ ফলে বিস্তর কেনাবেচা হয় তাঁতের শাড়ির৷
সাজের বাহার
শুধু জামাকাপড় নয়, বাহারি ব্যাগ থেকে ঝুটো গয়না, অর্থাৎ সব ধরনের আনুষঙ্গিক সাজেরও ব্যাপক বিক্রি হয় এই সময়৷
উৎসবের অর্থনীতি
দুর্গাপুজো তাই স্রেফ ধর্মীয় উৎসব নয়৷ বাঙালির অর্থনীতির একটা বড় অংশ যুক্ত থাকে এই উৎসবের সঙ্গে, যা বহু মানুষের সারা বছরের গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা করে৷