দুর্গত এলাকা সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট জিনতাও
১৮ এপ্রিল ২০১০গত সপ্তাহে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর কিংহাই প্রদেশে চলছে উদ্ধার তৎপরতা৷ পাশাপাশি এখন চলছে ত্রাণ বিতরণ ও আহতদের চিকিৎসা৷ তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় এখনও পর্যাপ্ত ত্রাণ সেখানে পৌঁছতে পারেনি৷ এই অবস্থায় রোববার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও৷ সেখানকার ইউশু কাউন্টির জিয়েগু শহরে তিনি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম কেমন চলছে তা দেখে আসেন৷ উল্লেখ্য, ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ইউশু অঞ্চল৷ এখানকার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাড়ি-ঘরই ধ্বংস হয়ে গেছে ভূমিকম্পে৷ প্রেসিডেন্ট জিনতাও স্থানীয় একটি এতিমখানা পরিদর্শন করেন৷ এসময় ফোয়েনিক্স টিভিকে দেওয়া এক মন্তব্যে তিনি বলেন, দুর্গতদের জীবন বাঁচানোটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ৷ একই সঙ্গে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিতে সহায়তা করাও আমাদের দায়িত্ব৷
উল্লেখ্য, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে চার হাজার মিটার উচ্চতায় অবস্থিত জিয়েগু শহরে যাওয়ার পথটাও বেশ দুর্গম৷ কিংহাই প্রদেশের রাজধানী থেকে এই শহর এক হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ তাই ত্রাণবাহী যানগুলোও সেখানে পৌঁছতে সময় নিচ্ছে অনেক৷ তার ওপর ভূমিকম্পে রাস্তাঘাটেরও ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক৷ এই অবস্থায় ইউশুগামী ত্রাণবাহী অনেক যানবাহন আটকা পড়ে গেছে সড়কগুলোতে৷ কিংহাই প্রদেশের দুর্গতদের জন্য চীনের অন্যান্য প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ সহায়তা পাঠাচ্ছে৷ চীনা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্যান্য প্রদেশ থেকে ২২৫ মিলিয় ইউয়ান সহায়তা পাঠানো হয়েছে৷ দুর্গতদের পর্যাপ্ত ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ৷ তবে অনেক ত্রাণ রাস্তায় আটকে পড়ে যাওয়ার কথাটিও স্বীকার করেছে তারা৷
এদিকে দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়ার জন্য তিব্বতের ধর্মীয় গুরু দলাই লামা যে অনুরোধ করেছেন সে ব্যাপারে এখনও কোন সাড়া মেলেনি চীনা সরকারের পক্ষ থেকে৷ উল্লেখ্য, কিংহাই প্রদেশ বর্তমান দলাই লামার জন্মস্থান৷ শনিবার তিনি কিংহাই প্রদেশ পরিদর্শনের জন্য চীনা সরকারের কাছে এক বিবৃতির মাধ্যমে অনুমতি প্রার্থনা করেন৷ চীনা সরকারি বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, বেইজিং সমর্থিত পানচেন লামা ইউশু এলাকার তিব্বতিদের জন্য ইতিমধ্যে ত্রাণ পাঠিয়েছেন এবং সমবেদনা জানিয়েছেন৷ এদিকে রোববার পর্যন্ত ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১,৭০৬ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে শিনহুয়া৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: জাহিদুল হক