‘দুদকের স্বাধীনতা খর্ব হয় এমন আইন প্রণয়ন ঠিক হবে না’
২৮ মার্চ ২০১১তবে তাঁরা মনে করেন, দুদকের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা থাকতে হবে৷ তাঁদের মতে, সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার ক্ষেত্রে আগাম অনুমতির বিধান চালু হলে দুদকের কাজে দীর্ঘসূত্রিতাই শুধু বাড়বে৷
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন পুরোপুরি স্বচ্ছ ছিল না৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমিশনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে৷ যা কমিশনের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে৷ যেমন বললেন দুদকের কমিশনার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন৷
আরেকজন কমিশনার মোহাম্মদ বদিউজ্জামান মনে করেন, আদালতের নির্দেশনা দেখে অতীতের ভুল ত্রুটি সংশোধন করতে হবে৷ আর নতুন করে দুদক যাতে একই ভুল না করে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে৷
তবে তাঁরা দু'জনই মনে করেন, সরকারের এমন কোন আইন প্রণয়ন করা ঠিক হবেনা যাতে দুদকের কাজ করার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা খর্ব হয়৷ তাঁদের বিশ্বাস, সরকার এধরনের আইন করবেন না৷ তাঁরা দুদকের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চত করার কথাও বলেন ৷
দুদক কমিশনার মোহাম্মদ বদিউজ্জামান আগের দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে তাঁর মহাপরিচালক হিসেবে চাকরির অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার ক্ষেত্রে আগাম অনুমতির বিধান চালু হলে দীর্ঘসূত্রিতা বাড়বে৷
সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার ক্ষেত্রে পূর্বানুমতি, কমিশন সচিব নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে নেয়া, দুর্নীতির মামলা অজামিনযোগ্য করা এবং তথ্যদাতার পরিচয় গোপন করা সহ আরো কিছু বিষয় নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন বিল আকারে সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে৷
প্রতিবেদন : হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়