1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই ডাকাতকে দাবড়ালেন এক নারী

১৩ জুলাই ২০১৮

জার্মানির ডাকাতরা বোধ হয় এবার একটু বুঝে-শুনে চলবেন৷ তাদের ডাকাতির মূল টার্গেট ছিলেন বৃদ্ধরা৷ কিন্তু শতবর্ষী এক নারী যা করেছেন, এবার বোধ হয় একটু অন্যভাবে ভাবতে হবে ডাকাত মহাশয়দের৷

https://p.dw.com/p/31OMY
Arthritis
ছবি: picture-alliance/BSIP

মানুষকে ঠকাতে এসব চোর বা ডাকাতরা নানান ফন্দি আঁটে৷ এর একটি হলো ‘পেপার ট্রিক'৷ অনেক সময় জাল টাকা বা ভুয়া কাগজ দেখিয়ে বিভ্রান্ত করে বা মনোযোগ অন্যদিকে নিয়ে চুরি বা ডাকাতি করে এসব সংঘবদ্ধ চোরেরা

১০৩ বছরের এই বৃদ্ধার ভাগ্যেও তেমনটিই ঘটতে যাচ্ছিলো৷ বৃহস্পতিবার পুলিশ জানায় যে, দুই অচেনা নারী এসে ঐ বৃদ্ধার কলিং বেল চাপেন৷ যে মুহূর্তে তিনি দরজা খোলেন তখনই একটি কাগজ দেখিয়ে বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন তারা৷ এরপর জোর করে ভেতরে ঢুকে যান৷

কিন্তু সেই বৃদ্ধা রুখে দাঁড়ান৷ তাঁর ভর দেয়ার লাঠি দিয়ে পেটাতে পেটাতে বের করে দেন তাদের৷ এ সময় ভবনের নীচে থাকা এক অচেনা যুবকও পালিয়ে যান৷ ধারণা করা হচ্ছে, সেই যুবকও এই নারীদের সঙ্গেই ছিলেন৷

ইউরোপে প্রতারকরা এভাবেই নানা কৌশলে ঠকাচ্ছে মানুষকে৷ তাদের মূল লক্ষ্য বয়স্করা৷ এতে তারা নানা রকমের ‘সাদা কাগজ বা ভুয়া নথি' ব্যবহার করছে৷ একে বলা হচ্ছে, ‘পেপার ট্রিক'৷

যেমন, প্রতারক চক্রের কেউ এসে একজনকে হয়তো দরজায় নক করে বলবে যে, বাড়ির বাসিন্দার প্রতিবেশীকে একটি বার্তা দিতে হবে৷ তাই কাগজ কলম দরকার৷ অথবা এসে বলবে যে, কোনো একটি বিষয়ে আবেদন সই করতে হবে৷

যাকে লক্ষ্য করা হবে, তাঁকে এই কাজে ব্যস্ত রেখে অথবা মনোযোগ অন্য দিকে নিয়ে গিয়ে এ সময়েই চুরি করে পালিয়ে যাবে চক্রের সদস্যরা

আবার কেউ কেউ হয়তো অসুস্থ হবার ভান করবে৷ অথবা এক গ্লাস পানি বা টয়লেট ব্যবহার করতে চাইতে পারে৷

জেডএ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)