দারফুরে চার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী অপহৃত
১৫ এপ্রিল ২০১০সুদানের দারফুর অঞ্চল থেকে জাতিসংঘের চারজন শান্তিরক্ষীর অপহৃত হবার খবর নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ৷ অপহৃত চারজনই দক্ষিণ আফ্রিকার সৈন্য৷ চারজনই জাতিসংঘের আফ্রিকীয় ইউনিয়নের হয়ে কাজ করছিলেন৷ গত রবিবার থেকে তাঁরা নিখোঁজ৷ জাতিসংঘ এবং আফ্রিকীয় ইউনিয়ন বাহিনীর যৌথ বিবৃতিতে বুধবার এই খবর নিশ্চিত করা হয়৷
২০০৩ সালে সুদান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীরা অস্ত্র ধরার পর থেকেই, পশ্চিমাঞ্চলের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়ে৷ অঞ্চলটি অবহেলিত এই অভিযোগে সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে বিদ্রোহীরা৷
অপহৃত দুইজন পুরুষ এবং দুইজন মহিলার সবাই শান্তিরক্ষী মিশনের পুলিশ উপদেষ্টা৷ শান্তিরক্ষী মিশনের মুখপাত্র নুরেদ্দিন মেজনি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাজধানীর কাছাকাছি দারফুরের দক্ষিণাঞ্চল নিয়ালায় তাঁদের ঘাঁটিতে রবিবার বিকেলে তাঁদের শেষবার দেখা গেছে৷ তিনি বলেন, তাঁদেরকে অপহরণ করা হয়েছে৷ অক্ষতভাবে তাঁদের মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা সম্ভাব্য সবকিছুই করছি৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, অপহরণের সঙ্গে কারা জড়িত তা জানা যায়নি৷ এবং অপহরণকারীদের কাছ থেকে কোন বার্তাও পাওয়া যায়নি৷ অপহরণকারীরা শান্তিরক্ষীদের বাহনও নিয়ে গেছে৷ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের কর্মকর্তা সহ বিদেশীদের অপরণ করার একটা ঝোঁক দেখা গেছে দারফুরে গতবছরও৷ এইসব সশস্ত্র অপহরণকারীরা মূলত মুক্তিপণ দাবি করে থাকে৷
এর আগে গত আগস্টে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের দুজন বেসামরিক কর্মিকে দারফুরের পশ্চিমাঞ্চল জালিঙ্গাই থেকে অপহরণ করা হয়৷ তাদের মধ্যে একজন ছিলেন নাইজেরীয় পুরুষ এবং মহিলাটি ছিলেন জিম্বাবুয়ের৷ ওই দুইজনকে তাঁদের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকেই অপহরণ করা হয়েছিল৷ এবং ১শ দিনেরও আরো পরে তাঁদের মুক্তি দেয়া হয়৷ দারফুর থেকে সর্বশেষ বিদেশী জিম্মি করা হয় রেড ক্রসের কর্মী গাওথিয়ের লেফেরেকে৷ রাজধানীর কাছাকাছি পশ্চিম দারফুরের এই গিনি থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল৷ ১৪৭ দিন জিম্মি করে রাখার পর তাঁকে মুক্তি দেয়া হয় গত মাসে৷
প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম