1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দারফুরে অপহৃত দুই উন্নয়ন কর্মী

২৩ জুন ২০১০

পশ্চিম সুদানের সংকটপীড়িত দারফুর অঞ্চলে মঙ্গলবার সম্ভবত দুই জার্মান নাগরিক অপহৃত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ তাঁরা ঐ অঞ্চলে উন্নয়ন সাহায্যের কাজে সক্রিয় ছিলেন৷

https://p.dw.com/p/O16N
দারফুরের মিলিশিয়া বাহিনীগুলি স্থানীয় মানুষ ও বিদেশী উন্নয়ন কর্মীদের জীবন আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেছবি: picture-alliance/ dpa

অপহৃতদের পরিচয় সম্পর্কে এখনো কিছুটা বিভ্রান্তি রয়ে গেছে৷ জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আন্দ্রেয়াস পেশকে বুধবার জানিয়েছেন, অপহৃত দুই জার্মান পুরুষের বয়স যথাক্রমে ৩৪ ও ৫২৷ অন্যদিকে দারফুরে আন্তর্জাতিক শান্তি বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, অপহৃতদের মধ্যে একজন জার্মান, অন্যজন নেদারল্যান্ডস'এর নাগরিক৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৭ জন দুষ্কৃতি দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালায় টিডাব্লুএইচ'এর দপ্তরে হামলা চালিয়ে ঐ দুই বিদেশী কর্মীকে অপহরণ করে৷ তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা এক স্থানীয় রক্ষীকেও অপহরণ করেছিলো, তারপর তাকে মুক্তি দেয়৷ হামলাকারীরা সশস্ত্র হলেও গোলাগুলি চালায় নি৷

দারফুর অঞ্চলে যেসব বিদেশী সংস্থা উন্নয়ন সাহায্যের কাজ করছে, তার মধ্যে রয়েছে জার্মানির টিএইচডাব্লু৷ দেশে-বিদেশে যে কোনো সঙ্কটের সময় দ্রুত পানীয় জলের সরবরাহ স্বাভাবিক করা, রাস্তাঘাট গাড়ি চলার উপযুক্ত করে তোলার মতো কাজে বিশেষ পারদর্শী এই সংস্থার বিশেষজ্ঞরা৷

২০০৩ সাল থেকে দারফুরের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সুদানের সরকারের সংঘর্ষের ফলে যে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে, তার মোকাবিলা করতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সাহায্য অভিযান শুরু করা হয়েছিলো৷ তারই আওতায জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও অন্যান্য অনেক এনজিও ঐ অঞ্চলে কর্মরত৷ দারফুর এলাকায় বিদেশী উন্নয়ন-কর্মীদের অপহরণের ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়৷ এর ফলে অনেক সংস্থাই তাদের কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে, যার ফলে উন্নয়নের কাজের ক্ষতি হচ্ছে৷ মঙ্গলবারের ঘটনার ফলে তারা আরও সতর্ক হয়ে যাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ প্রায় এক মাস আগে এক মার্কিন নারীকে অপহরণ করা হয়৷ তিনি সামারিটান পার্স নামের এক ধর্মীয় সংস্থার হয়ে দারফুরে কাজ করছিলেন৷ তিনি এখনো মুক্তি পান নি৷

সুদান সরকার ও উন্নয়ন সংস্থাগুলি বলে আসছে, যে এখনো পর্যন্ত তারা কোনো অপহৃত ব্যক্তির জন্য মুক্তিপণ দেয় নি৷ এর আগে যাদের অপহরণ করা হয়েছিলো, অপহরণকারীরা শেষ পর্যন্ত তাদের কোনো ক্ষতি না করে মুক্তি দিয়েছে৷ কিন্তু মুক্তিপণ সম্পর্কে অনেক গুজবের ফলে অর্থের লোভে বিদেশীদের অপহরণের ঘটনা বেড়ে চলেছে৷ তাছাড়া আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালত সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর হাসান আল বশীরের বিরুদ্ধে শমন জারি করার পর থেকে দারফুরে উন্নয়ন কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের মনোভাব বৈরী হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠছে৷ বশীর সরাসরি উন্নয়ন সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছিলেন, যে তারাই তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ জমা দিয়েছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক