দামেস্কে প্রাণ ফিরছে
গত মে মাসে সিরিয়ার দামেস্কে যুদ্ধের ঝনঝনানি বন্ধ হয়েছে৷ ফলে সেখানকার অধিবাসীরা এবার প্রায় সাত বছর পর প্রথমবারের মতো গোলাগুলিবিহীন গ্রীষ্ম কাটিয়েছেন৷
জন্মদিন পালন
পুরনো দামেস্কে বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি চলছে৷ দামেস্ক থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত পূর্ব গুটা শহরটি একসময় বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল৷ সেখান থেকে সরকারি বাহিনীকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া মর্টার পুরনো দামেস্ক এলাকায় পড়তো৷ ফলে সেখানকার স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়েছিল৷
ক্রেতাহীন দিন
২৪ বছরের ডানা জানালেন যুদ্ধের সময় যখন নিয়মিত বোমা পড়তো, তখন তাঁদের বার-এ অনেকদিন কোনো ক্রেতার আনাগোনা থাকতো না৷ কিন্তু এখন দিন বদলেছে৷ বার আর রেস্তোরাঁগুলো ব্যস্ত হয়ে উঠেছে৷
ব্যস্ত সেলুন
শুধু খাবার দোকান কেন, সেলুন থেকে শুরু করে অন্যান্য দোকানেও ক্রেতার উপস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে৷ ২০১১ সালের পর এই প্রথম দামেস্কের বাসিন্দারা গুলি আর বোমার শব্দবিহীন দিন কাটাচ্ছেন৷
কেন্দ্রীয় দামেস্কে কম ক্ষতি
এই অংশটি সবসময় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকায় ভবন আর রাস্তাঘাট প্রায় অক্ষতই আছে৷ কিন্তু কয়েক মাইল দূরের পূর্ব গুটা শহরে গেলে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়৷
ভাঙা অবকাঠামো
পূর্ব গুটার এখনকার চিত্র৷ যুদ্ধ থেমেছে কয়েক মাস হলো, কিন্তু এখনো অবকাঠামো পুনরায় গড়ে তোলা যায়নি৷ কবে যে যাবে, তা-ও কেউ বলতে পারছেন না৷
অর্থাভাব
সম্প্রতি তোলা এই ছবিটি হোমস শহরের৷ ২০১৩ সালে এলাকাটি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসে৷ কিন্তু ভাঙা ঘরবাড়ি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই কয়েক বছরেও আবার শহরটি গড়ে তোলা যায়নি৷ কারণ, অর্থাভাব৷ সিরিয়ার মিত্র রাশিয়া আর ইরান এই অভাব দূর করতে সহায়তা করবে না৷ আর রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া পশ্চিমা বিশ্ব অর্থ সহায়তা দেবে না৷
অনিশ্চিত জীবন
একটি বারের মালিক ৩০ বছরের রাশা জানালেন, তিনি তাঁর কাজ ভালোবাসেন৷ কিন্তু সিরিয়ার অর্থনীতি কবে উঠে দাঁড়াবে, তা অনিশ্চিত৷ তাই দেশ ছাড়তে চান তিনি৷ ‘‘যখন যুদ্ধ ছিল, প্রতিদিন বোমা পড়তো, তখন আমি কখনোই দেশ ছাড়তে চাইনি৷ কিন্তু এখন আমি চাই,’’ বলেন তিনি৷