1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনৈতিক বিতর্ক

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

‘অ্যাশ ওয়েডনেসডে' উপলক্ষ্যে বুধবার জার্মানির রাজনৈতিক দলের নেতারা দল ও দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন৷ সিডিইউ নেত্রী দলীয় স্বার্থের বদলে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবার ডাক দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/2siqc
সিডিইউ নেত্রী আঙ্গেলা ম্যার্কেল ভাষণ দিচ্ছেন
ছবি: Reuters/F. Bensch

জার্মানির কিছু অংশে কার্নিভাল মরসুম শেষ হলো বুধবার৷ এবার প্রতীকী উপবাসের পালা৷ ঐতিহ্য অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলি এদিন খোলামেলা পরিবেশে নেতাদের ভাষণের ব্যবস্থা করেছিল৷ তাঁরাও মন খুলে একে অপরকে খোঁচা দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন৷ বলা বাহুল্য, এ বছর সরকার গড়ার কঠিন প্রচেষ্টার মাঝে দিনটি বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে৷ প্রস্তাবিত মহাজোটের শরিক দলগুলি অবশ্য একে অপরকে তেমন আক্রমণ করেনি৷ অন্যদিকে বিরোধী দলগুলি বড় দলগুলিকে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ করতে ছাড়েনি৷

গত কয়েক মাসের অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সিডিইউ নেত্রী আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, ‘‘আমরা যেভাবে লাগাতার নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি, তার বদলে জার্মানির মানুষ এবার স্থিতিশীল সরকার চায়৷''  তাঁর মতে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সব দলকে আত্মসমালোচনা করতে হবে৷ তাছাড়া দলের বদলে দেশের স্বার্থের কথা বেশি করে ভাবতে হবে৷ এসপিডি দলকে ছাড় দেবার প্রশ্নে দলের মধ্যে সমালোচনাও উড়িয়ে দেন তিনি৷ ম্যার্কেল বলেন, কোয়োলিশন চুক্তির মধ্যে সিডিইউ দলের নীতিগুলির যথেষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে৷ যেমন নতুন করে সরকারি ঋণ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত৷ এসপিডি দলের কোনো নেতা অর্থমন্ত্রী হলেও তাঁকে সেই নীতি মেনে চলতে হবে৷ তাঁর আচরণের প্রতি কড়া নজর রাখা হবে৷

কোণঠাসা এসপিডি দলের মনোনীত শীর্ষ নেত্রী আন্দ্রেয়া নালেস সরাসরি ম্যার্কেলের আধিপত্য খর্ব করার কথা বলেন৷ তাঁর মতে, ম্যার্কেলকে চ্যালেঞ্জ করতে এসপিডি দলের প্রয়োজন৷ এই অবস্থায় নতুন করে আত্মপ্রকাশ করতে পারলে এসপিডি দল আবার প্রথম স্থান পেতে পারে৷ তবে তার জন্য দলের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনের উপর জোর দেন তিনি৷ উল্লেখ্য, আগামী এপ্রিল মাসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন৷

বাভেরিয়ায় সিএসইউ দল গত নির্বাচনে বেশ কিছুটা সমর্থন হারানোর পর আগামী রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবার শক্তিশালী হয়ে উঠতে চাইছে৷ রাজ্যের আগামী মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডারসহ দলের নেতারা জ্বালাময়ী ভাষণে নিজেদের রক্ষণশীল চরিত্র তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়েছেন৷ বিশেষ করে এএফডি দলের বাড়বাড়ন্ত কমিয়ে তাদের সমর্থকদের আবার দলে টানতে চান তাঁরা৷

বিরোধী এফডিপি, এএফডি, সবুজ ও বাম দলের নেতারা সরকার গড়ার বর্তমান প্রচেষ্টার নানা দিকের সমালোচনা করেন৷ বিশেষ করে দেশের নেত্রী হিসেবে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের কড়া সমালোচনা করেন অনেকে৷ এএফডি নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার ১২ বছর পর ম্যার্কেল জমানার সমাপ্তির ডাক দেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)