1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দল ছেড়েও ক্ষোভ সুমনের

৩০ মার্চ ২০১০

লোকসভার সদস্যপদ এবং তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এস এম এস-য়ে ইস্তফা দেওয়ার পর, মঙ্গলবার সকালে আবার তৃণমূল নেতৃত্বকে এক হাত নিলেন বিক্ষুব্ধ, ক্রুদ্ধ কবীর সুমন৷

https://p.dw.com/p/Mhsc
সুমনের প্রস্থান মমতার জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারেছবি: UNI

‘‘আমার কাজ ইজ টু সার্ভ দ্য পিপল, নট টু সার্ভ দ্য পার্টি৷ আমি জনাদেশে (সাংসদ পদে) এসেছি৷ জনাদেশ৷ পার্টির আদেশে নয়৷ আমাদের মানুষ নির্বাচন করে৷ আমি মানুষের দাস৷ ‘দলদাস' না৷''

এ কথা আগেও বলেছেন কবীর সুমন৷ বুঝিয়েছেন, দলের কিছু মাঝারি নেতার আচরণে তিনি বিরক্ত, বিক্ষুব্ধ৷ কিন্তু এবার একেবারে হাল ছেড়ে দিলেন নাগরিক কবিয়াল৷ সোমবার রাতে দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরও তিন নেতাকে এস এম এস পাঠিয়ে সাংসদ পদে ইস্তফা এবং তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন কবীর সুমন৷ এর পর মঙ্গলবার সকালে নিজের বৈষ্ণবঘাটার বাড়িতে বসে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, আত্মসম্মান ত্যাগ করে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না৷ তাই ইস্তফা৷ তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধেও সরাসরি অভিযোগ আনেন সুমন৷

তিনি বলেন, পার্টির কোনও অধিকার নেই বলার যে তিনি কাকে দিয়ে কাজ করাবেন৷ মানুষের অধিকার আছে৷ একজন এমপি-র নিন্দে না করে, তৃণমূলের বড় বড় নেতারা বরং কাজ করুন৷

এদিন সাংবাদিক বৈঠক চলার সময়ই একদল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সুমনের বাড়ি হাজির হন৷ তাঁদের অনুরোধ, সুমন যেন দল না ছাড়েন৷ তাঁদের কাছেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান সুমন৷ লালগড় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস আদিবাসী নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করায় যে সুমন অখুশি, তাও এদিন আবার জানিয়ে দেন তিনি৷

বলেন, মা-মাটি-মানুষ, দলের এই যে স্লোগান, তা হঠাৎ লালগড়ে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল কেন৷ লালগড়ে মানুষের উঠে দাঁড়ানোর যে আন্দোলন, সেটা কি গণ আন্দোলন নয়? তা কি মা-মাটি-মানুষ-এর আন্দোলনের বাইরে?

কবীর সুমন বলেছেন, তিনি চান না, তাঁর এইসব মন্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ক্ষতি হোক৷ কারণ তিনি আন্তরিকভাবেই চান, মমতা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হোন৷ সিপিএম ক্ষমতাচ্যুত হোক৷

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এটা তাঁদের দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার৷ যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন