দক্ষিণ চীন সাগরে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধসজ্জা
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বিতর্কিত এলাকাগুলোর একটি দক্ষিণ চীন সাগর৷ এর আশেপাশে দেশগুলো নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনে বাড়াচ্ছে নৌবাহিনীর শক্তি৷ অন্য সব দেশ মিলে এই এলাকায় যে পরিমাণ খরচ করে, চীন একাই করে তার চেয়ে বেশি৷
চীনা নৌবহর
দেশটির প্রথম এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ লিয়াওনিং৷ ১৯৮৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে তৈরি হয় এটি৷ ১৯৯৮ সালে এটিকে ভেঙে চীনের কাছে বিক্রি করে ইউক্রেন, তারপর ডাইলিয়ান শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি এটিকে আবার তৈরির কাজ হাতে নেয়৷ ২০১২ সালে নির্মাণ শেষে ২০১৬ থেকে এই জাহাজ যুক্ত হয় চীনা নৌবাহিনীতে৷
ভিয়েতনামের ‘ব্ল্যাক হোল’
সম্প্রতি রাশিয়ার কাছ থেকে ছয়টি কিলো-ক্লাস সাবমেরিন পাচ্ছে ভিয়েতনাম৷ এর মধ্যে দুইটি ২০১৭ সাল থেকে আছে দেশটির নৌবাহিনীর সাথে৷ পানির তলদেশে নীরবে চলাচল এবং খুঁজে পাওয়া কঠিন, এ কারণে মার্কিন নৌবাহিনী এই সাবমেরিনের নাম দিয়েছে ‘ব্ল্যাক হোল’৷ এই সাবমেরিন অগভীর পানিতেও চলতে পারে এবং শত্রু জাহাজ বা সাবমেরিন রুখতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে৷
ফিলিপিন্স মূল শক্তি
ফিলিপিন্স নৌবাহিনীর ফ্ল্যাগশিপের নাম বিআরপি গ্রেগরিও দেল পিলার৷ মার্কিন নৌবাহিনীর তিনটি কোস্ট গার্ড কাটারের একটি পেয়েছে ফিলিপিন্স৷ সর্বপ্রথম এটির ব্যবহার হয় ১৯৬৭ সালে, আধুনিকায়ন হয় ২০১১ সালে৷ ২০১২ সালে দক্ষিণ চীন সাগরের স্কারবরো শোল নিয়ে চীনা নৌবাহিনীর সাথে মুখোমুখি অবস্থানে চলে গিয়েছিল এই জাহাজ৷
এশিয়ায় ইউরোপের যুদ্ধজাহাজ
নতুন যুদ্ধজাহাজ কিনে নিজের নৌবাহিনী শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়া৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে কেআরআই সুলতান হাসানুদ্দিন নামে সিগমা-ক্লাস করভেট৷ ২০০৭ সালে নেদারল্যান্ডসে তৈরি হয় এই জাহাজ৷ জার্মানিও এই অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ সরবরাহ করে৷ মালয়েশিয়ার কস্তুরি-ক্লাস করভেট এবং ব্রুনাইয়ের দারুসসালাম-ক্লাস টহল জাহাজ জার্মানির কারখানায় তৈরি৷
সিঙ্গাপুরের চোরা-জাহাজ
উচ্চপ্রযুক্তির ব্যবহারে এই অঞ্চলে সিঙ্গাপুরের সমতুল্য কেউ নেই৷ ২০০৭ সাল থেকে সিঙ্গাপুর ছয়টি ফরমিডেবল-ক্লাস চোরা-জাহাজ ব্যবহার করে আসছে৷ সহজে অবস্থান সনাক্ত করা যায় না বলে এই ধরনের জাহাজকে চোরা-জাহাজ বলা হয়৷ এর সব কয়টিই তৈরি করেছে ফ্রান্স৷
এখানেও মার্কিন রণতরী
সত্যিকার অর্থে একমাত্র বৈশ্বিক নৌশক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ প্রশান্ত অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে সপ্তম নৌবহর৷ এতে আছে ৫০-৬০টি জাহাজ, ৩৫০টি যুদ্ধবিমান এবং প্রায় ৬০ হাজার সৈন্য৷ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থানরত একমাত্র বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রিগান-ও আছে এই রণতরীতে৷ এর অবস্থান জাপানের ইয়োকোসুকা নৌঘাঁটিতে৷