থার্মোমিটার ভেঙে যাওয়া ঠান্ডা যেখানে
রাশিয়ার ওইমিয়াকন বিশ্বের শীতলতম গ্রাম৷ উত্তর-পূর্ব রাশিয়ায় সাইবেরিয়া অঞ্চলের এই গ্রামটির শীতকালের অবস্থা নিয়ে ছবিঘর৷
ইয়াকুশা
ইয়াকুশা, মস্কো থেকে ৩ হাজার ৩শ’ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত৷ সেখানে মাইনাস ৪০ ডিগ্রিতেও স্কুল খোলা থাকে৷ রবিবার সেখানে প্রচণ্ড ঠান্ডায় জমে মারা গেছেন দুইজন৷ গাড়ি নষ্ট হওয়ায় রাস্তায় বের হওয়ার পর তারা ঠান্ডায় জমে যান৷
বিশ্বের শীতলতম গ্রাম
ইয়াকুশা’র গ্রাম ওইমিয়াকনে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ মানুষের বসতি আছে এমন স্থানের মধ্যে শীতলতম ওইমিয়াকন৷
পারদভাঙা ঠান্ডা
মাইনাস ৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ডিজিটাল থার্মোমিটার ধারণ করতে পারে না, অর্থাৎ ভেঙে যায়৷ কেননা, এই থার্মোমিটারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেয়া আছে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷
স্কুল ছুটি
এরকম প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়লে স্থানীয়রা আশ্রয়শিবিরে চলে যান৷ স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়৷ রাস্তায় হঠাৎ দু’ একজনকে চোখে পড়ে, তারা হয়ত সেলফি তোলার জন্য বের হন, অর্থাৎ চোখের পাতা জমে কেমন হয় সেটার ছবি তোলেন৷
তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নীচে
প্রত্যন্ত এই গ্রামটি সবসময়ই বরফে ঢাকা থাকে৷ কিন্তু শীতকালে ভয়াবহ ঠান্ডা পড়ে সেখানে৷ এই গ্রামে থাকেন প্রায় ৫০০ জন মানুষ৷ গ্রীষ্মের সময়ে আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকত ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, ২০১০ সালে সেই তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে৷
১৯৩৩ সালের রেকর্ড
এখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ডটটি ছিল ১৯৩৩ সালে, মাইনাস ৬৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ মানুষের বসতি আছে এমন স্থানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড এটি৷ নাসা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড অ্যান্টার্কটিকায়, মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে৷