1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাই রাজার জার্মানিতে প্রবেশাধিকার বন্ধের দাবি

২৩ নভেম্বর ২০২০

দিনের পর দিন জার্মানির মাটি থেকে থাইল্যান্ডের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে রাজা মাহি ভাচিরালংকর্ন৷ এই অভিযোগ তুলে তাঁর প্রবেশাধিকার রদের দাবি তুলছেন জার্মান রাজনীতিকরা৷

https://p.dw.com/p/3liUG
থাইল্যান্ডের রাজা মাহি ভাচিরালংকর্ন
থাইল্যান্ডের রাজা মাহি ভাচিরালংকর্নছবি: Athit Perawongmetha/REUTERS

একদিকে করোনা সংক্রমণ ও অন্যদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক সরগরম৷ কিন্তু সে দেশের রাজা মাহা ভাচিরালংকর্ন দীর্ঘদিন ধরে বাভারিয়ার আল্পসের কোলে বিলাসবহুল হোটেলে জীবনযাপন করেছেন৷ শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠছে যে তিনি এখান থেকেই দেশের নানা বিষয়ে তাঁর কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিলাসবহুল হোটেলে ছুটি কাটানোর নামে৷

জার্মানির এই অঞ্চলে প্রায়ই দীর্ঘ ছুটি কাটান রাজা বলে জানা গেছে৷ কিন্তু জার্মানিতে শুধু পর্যটক হিসাবেই থাকছেন না রাজা ভাচিরালংকর্ন৷ সেখান থেকে একই সাথে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাঁর কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি৷ এবিষয়ে, অক্টোবর মাসে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, ‘‘যে অতিথিরা জার্মানিতে থেকে নিজেদের দেশ চালান আমরা সব সময়েই তার বিরোধী৷ জার্মানির মাটি থেকে এমন কোনো নীতি প্রণয়ন করা চলবে না, যা থাইল্যান্ডে প্রভাব ফেলে৷’’

কিন্তু থাই রাজার এই আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে জার্মানির কতটুকু আইনি এক্তিয়ার আছে, তা খতিয়ে দেখেছে জার্মান ভিজেনশাফটলিশে ডিন্সট নামের গবেষণা বিভাগ৷ তাদের মত, রাজা ভাচিরালংকর্নকে জার্মানি থেকে বহিষ্কারের ও তাঁকে ‘পার্সনা নন গ্রাটা’ ঘোষণার অধিকার রয়েছে জার্মান কর্তৃপক্ষের হাতে৷ কিন্তু ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি বা বিশেষ কূটনৈতিক সুবিধা থাকায় আইনী বিচারপ্রক্রিয়ায় বাঁধা যাবেনা ভাচিরালংকর্নের কার্যকলাপকে৷

কেন ভাচিরালংকর্নের সমালোচনায় জার্মান রাজনীতিবিদেরা?

প্রতি বছর, মাসের পর মাস রাজা ভাচিরালংকর্ন মিউনিখের দক্ষিণের লেক স্টার্নবের্গের তীরের একটি বিলাসবহুল ভিলায় দিন কাটান৷ এবছর, করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বাভারিয়ান আল্পসের স্কি-রিসর্ট গারমিশ-পার্টেনকিরশেনেও থেকেছেন তিনি বলে অভিযোগ৷

অক্টোবরে রাজা ভাচিরালংকর্ন থাইল্যান্ডে ফিরে গেলে জার্মানির বামপন্থী দল ডি লিংকে জার্মানিতে তাঁর প্রবেশাধিকার বন্ধ করার দাবি জানায়৷ একটি বিবৃতিতে দলের নেতারা বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি তাঁর নিজের দেশে সামরিক জান্তার সাহায্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে রোধ করে, তাঁকে বিলাসবহুল পর্যটন করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী জার্মান ভিসা দেওয়া বন্ধ করা হোক৷’’

কিন্তু নভেম্বর মাসে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যে ভাচিরালংকর্নের জার্মানির মাটি থেকে থাইল্যান্ডের নীতি নিয়ন্ত্রণের কোনো তথ্যপ্রমাণ তারা পায়নি৷ তবু বিরোধী দলের সদস্যরা তা মানতে নারাজ৷ এবিষয়ে গ্রিন পার্টির মার্গারেট ব্রাউজে একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আমাদের সরকার থাইল্যান্ডের রাজার আইনবহির্ভূত কার্যকলাপ থামাতে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা আমরা জানি না।’’

বেন নাইট/এসএস

৩০ জুলাইয়ের ছবিঘরটি দেখুন...