1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তেল দুর্ঘটনা পরিবেশগত ১/১১: ওবামা

১৫ জুন ২০১০

মেক্সিকো উপসাগরে তেল বিপর্যয়ের ঘটনায় ক্রমশই চাপ বাড়ছে ব্রিটিশ তেল কোম্পানি বিপির ওপর৷ বুধবার বিপির শীর্ষ কর্মকর্তারা দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/NqmY
প্রেসিডেন্ট ওবামাছবি: AP

মনে করা হচ্ছে এই ঘটনার জন্য বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপুরণ দিতে হবে বিপিকে৷ গত ২০ এপ্রিল মেক্সিকো উপসাগরে তেলের রিগ বিস্ফোরিত হলে গোটা এলাকায় তেল ছড়িয়ে পড়ে৷ মার্কিন বিজ্ঞানিরা জানিয়েছেন প্রতিদিন ৪০ হাজার ব্যারেল তেল ছড়িয়ে পড়ছে মেক্সিকো উপসাগর এবং যুক্তরাষ্ট্রের গোটা দক্ষিণ পূর্ব উপকুল অঞ্চলে৷ এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র তার ইতিহাসে সবেচেয়ে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এটাকে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ জগতে আরেক এগারই সেপ্টেম্বর বলে তুলনা করেছেন৷ ব্রিটিশ তেল কোম্পানি বিপি এখন পর্যন্ত এই তেল কূপের ছিদ্রমুখ বন্ধ করার চেষ্টা করে গেলেও পুরোপুরি সফল হয়নি৷ তবে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রতিদিন ১৫ হাজার ব্যারেল তেল জাহাজে তুলে আনা হচ্ছে৷ অন্যদিকে ব্রিটিশ জ্বালানি মন্ত্রী ক্রিস হুনে জানিয়েছেন, পুরোপুরি তেল নিঃসরণ বন্ধ করতে আগস্ট মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাবে৷

এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের ফলে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে গোটা দক্ষিণ পূর্ব উপকূল অঞ্চলের নাগরিকরা৷ তাদের এই ক্ষতির ক্ষতিপুরণের পরিমাণ কত হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে চলছে জোর আলোচনা৷ মার্কিন কংগ্রেসের একটি দল আপাতত এই ক্ষতিপুরণের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলার বলে বিপির কাছে দাবি জানিয়েছে৷ এই ক্ষতিপুরণ নিয়ে দেন দরবার করতেই বুধবার বিপির শীর্ষ কর্মকর্তারা কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে৷ তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিপি ইস্যুতে৷ সোমবার এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘এই বিপর্যয়ের জন্য বিপি এবং সংশ্লিষ্টদের আমরা দায়ী মনে করছি৷ এবং এজন্য তাদের জবাব দিতে হবে৷' পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ইতিমধ্যে এই ঘটনা মার্কিন-ব্রিটিশ সম্পর্কে একটি প্রভাব ফেলেছে৷

এদিকে সোমবার প্রেসিডেন্ট ওবামা দুর্গত রাজ্যগুলোতে সফর শুরু করেছেন৷ এর আগে তিনি তিনবার লুইজিয়ানা সফর করলেও এবার অ্যালাবামা, মিসিসিপি এবং ফ্লোরিডার দুর্গত এলাকাও সফর করছেন৷ সফর শেষে আজ মঙ্গলবার তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে৷ এদিকে এই তেল বিপর্যয়ের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে তাতে পাঁচ জনের নাম ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ কমিশনের সাত সদস্যের মধ্যে কেউই জ্বালানী শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন৷ বরং রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং পরিবেশবিদদের এতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক