তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে ভোগ্যপণ্যের ওপর
২৮ মে ২০১১বিক্রেতারা বলছেন, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমন হচ্ছে৷ এ অবস্থায় আগামী রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত টিসিবির ডিলারদের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
দেশে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে৷ এই মৌসুমে তাই চালের দাম কমার কথা৷ কিন্তু উল্টো গত কয়েকদিনে কেজিতে সব ধরনের চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা টাকা বেড়েছে৷ বিক্রেতারা এজন্য জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করেন৷
গত ফেব্রুয়ারিতে সরকার সয়াবিন তেলের খুচরা দাম প্রতি লিটার ১১৬ টাকা বেঁধে দেয়৷ ভোজ্য তেল আমদানীকারকরা তা মেনেও নেন৷ কিন্তু ব্যবসায়ীরা সরকারের সঙ্গে আলাপ না করেই খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন৷ অজুহাত একই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি৷
এ অবস্থায় সরকার রোজার মাসকে সামনে রেখে টিসিবির মাধ্যমে ভোগ্যপণ্য আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করছে৷ বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান জানান, এবার শুধু শহরে নয়, উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত টিসিবির ডিলারদের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করা হবে৷ তিনি জানান, এর বাইরেও বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার রমজান মাসে নতুন আরো কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক