1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তৃণমূল আর কংগ্রেসের মধ্যে সমঝোতা হলনা

২৯ এপ্রিল ২০১০

পশ্চিমবঙ্গে ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে বামফ্রন্ট-কে ক্ষমতাচ্যুত করার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল যে বিরোধী জোট, আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের আগেই সেই জোট ভেঙে পড়ল৷ আসন নিয়ে কোন সমঝোতা হলনা৷

https://p.dw.com/p/N9ZA
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ছবি: UNI

তৃণমূল কংগ্রেস-জাতীয় কংগ্রেসের বিরোধী জোট শেষ পর্যন্ত ভেঙে গেল কলকাতায়৷ আসন সমঝোতা নয়, ৮৩টি আসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধেও লড়বে কংগ্রেস৷ সম্ভবত সল্ট লেকেও বিরোধী জোট ভাঙতে চলেছে৷ কারণ সেখানেও জোটসঙ্গী কংগ্রেসের অনুরোধ অগ্রাহ্য করে, মাত্র কয়েকটি আসন ছাড়তে রাজি তৃণমূল৷

কলকাতা পুরসভার ১৪১টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের ছেড়ে দেওয়া মাত্র ২৫টি আসন মেনে নিতে শুরু থেকেই নারাজ ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা৷ কিন্তু জোটসঙ্গী তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক, দিল্লির হাই কম্যান্ডের কাছে দরবার, কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি৷ বরং বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস এক তরফা ভাবে, ২৫টি আসন ছেড়ে রেখে বাকি আসনে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেয়৷ তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, মানুষের ইচ্ছে-কে সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত৷

কিন্তু তৃণমূলের ভিতরেই এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দলের কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি, তৃণমূলের সদর দফতরের সামনে৷ এদিকে বিক্ষোভ চলছে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরের সামনেও৷ রাজনৈতিক অস্তিত্ব এবং সম্মান বন্ধক রেখে তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যেতে নারাজ কংগ্রেস কর্মীরা৷ এদিন দলের কলকাতা জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর ৮৩ জনের ওই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা৷

কলকাতা ও সল্ট লেক-সহ রাজ্যের ৮১টি পুরসভায় আসন্ন নির্বাচনকে অনেকেই আগামী বিধানসভা ভোটের সেমি ফাইনাল হিসেবে চিহ্নিত করছিলেন৷ তৃণমূল কংগ্রেস এবং জাতীয় কংগ্রেসের বিরোধী জোট, রাজ্যে গত ৩৩ বছর ধরে ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট-কে অবশেষে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে বলে যে পরিবর্তনের হাওয়া উঠেছে, সেই হাওয়া এই পুরভোটে আরও জোরদার হবে, এমনই ভেবেছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু বিরোধী জোটের এই তীব্র অনৈক্য এবং চূড়ান্ত পারস্পরিক অসহযোগিতা, সেই পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে নিশ্চিতভাবেই এক প্রশ্নচিহ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিল৷

প্রতিবেদক : শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক