1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘তুর্কিদের গায়ে হাত তুললে পরিণাম ভালো হয় না’

৩০ জানুয়ারি ২০১১

ত্রাণবাহী তুর্কি জাহাজের উপর ইসরায়েলি কমান্ডো হামলার ‘প্রতিশোধ’ নিতে তুর্কি নায়ক ইসরায়েলি অফিসারকে হত্যা করলেন – বাস্তবে নয়, রূপালি পর্দায়৷

https://p.dw.com/p/1070X
এই সেই‘মাভি মার্মারা’ জাহাজছবি: AP

৩১শে মে ২০১০৷ ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল একঝাঁক জাহাজ৷ তাদের মধ্যে একটির নাম ‘মাভি মার্মারা'৷ আচমকা ইসরায়েলি কমান্ডোরা সেই জাহাজে ঢুকে পড়ায় শুরু হল সংঘর্ষ৷ নিহতদের মধ্যে ৯ জনই তুর্কি নাগরিক৷ গোটা বিশ্বে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠলো৷ ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটলো৷

তুরস্ক সেই অধ্যায় ভুলে যায় নি৷ সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে পারলেও ‘মাভি মার্মারা'র উপর হামলার ঘটনা এবার রূপালি পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হলো এক পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে৷ নাম ‘নেকড়েদের উপত্যকা – প্যালেস্টাইন'৷ খলনায়ক এক ইসরায়েলি সামরিক অফিসার৷ তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে আসরে নামলেন নায়ক পোলাট, যিনি এক তুর্কি এজেন্ট৷ ইসরায়েলে গিয়ে সেই কাজে সফল হয়ে বীরের মতো দেশে ফিরলেন তিনি৷

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পর্দায় ক্ষোভ দেখানোর ঘটনা তুরস্কে এই প্রথম নয়৷ ‘নেকড়েদের উপত্যকা' নামের এক টেলিভিশন সিরিজও বহুদিন চলেছিল৷ তারও নায়কের নাম পোলাট৷ একটি অধ্যায়ে তিনি এক ইসরায়েলি দূতাবাসে ঢুকে এক তুর্কি কিশোরকে উদ্ধার করেছিলেন, যাকে নাকি ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ অপহরণ করেছিল৷

বলাই বাহুল্য এই ছবিটি নিয়েও তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ ইসরায়েল এই ছবির মধ্যে এক সার্বিক ইহুদি-বিদ্বেষের প্রবণতা দেখতে পাচ্ছে৷ আরব বিশ্বে ছবিটি বিপুল সাফল্য পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু এর ফলে তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনার ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: জাহিদুল হক