1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তিহারেই অনুব্রত, কেমন কাটলো প্রথম রাত

২২ মার্চ ২০২৩

দিল্লির তিহার জেলেই যেতে হলো বীরভূমের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। অনেক চেষ্টা করে তিহার যাত্রা এড়াতে পারলেন না।

https://p.dw.com/p/4P303
ছবি: Anindito Mukherjee/dpa/picture alliance

রাজধানীর রাউস অ্যভিনিউ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংয়ের নির্দেশে ১৪ দিন জেল হাজতে থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। মঙ্গলবার রাতেই তাকে তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে প্রথম দিন তাকে সেলে দেয়া হয়নি। জেলের নিয়মানুযায়ী পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।

এই তিহার যাত্রা এড়াতে প্রচুর চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত। দিল্লি হাইকোর্ট, কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। দিল্লি এসে তিনি ইডির হেফাজতে ছিলেন। তারপর মঙ্গলবার রাতে তিহার যেতে হয়।

কেমন কাটলো প্রথম রাত

অনুব্রতকে জেলের নিয়মমতো নিজের ওষুধ নিয়ে যেতে দেয়া হয়নি। তার প্রেসক্রিপশন দেখে জেলের হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওষুধ দেন। অনুব্রত সেই ওষুধ দেখে প্রথমে বুঝতে পারেননি, কোনটা খেতে হবে। পরে সমস্যা মেটে। শ্বাসকষ্টের রোগী অনুব্রতর  জন্য হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারও মজুত রাখা হয়েছিল।

জেলে রুটি দেয়া হলেও অনুব্রত খাননি। তিনি ভাত, ডাল, তরকারি খেয়েছেন। সম্ভবত বুধবার তাকে সেলে দেয়া হবে। তাকে পিএমএলএ(মানি লন্ডারিং) বন্দিদের জন্য নির্দিষ্ট সাত নম্বর সেলে রাখা হতে পারে। তার সাবেক দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অভিযুক্ত এনামুল হক, বিএসএফের আধিকারিক সতীশ কুমার  ও হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিও এখন তিহার জেলে বন্দি।

দিল্লির সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ও সাবেক মন্ত্রী সত্য়েন্দ্র জৈনও তিহারে আছেন।

জন্মসাল ভুলে যাওয়া

মঙ্গলবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ঠোকার আগে অনুব্রতর জন্মসাল ও তারিখ জিজ্ঞাসা করেন ইডির অফিসার। অনুব্রত জন্মসাল ভুলে যান। তিনি শুধু বলেন, অঘ্রাণ মাস, চৌঠা অঘ্রাণ। অবাঙালি অফিসার কিছু বুঝতে পারেননি। তিনি অনুব্রতর আধার কার্ডের কপি দেখাতে বলেন। তখন অনুব্রত বলেন, তার বয়স ৬৬ বছর। এবার ইডি-র অফিসার তার জন্মসাল বের করে নিন।

তবে জন্মসাল ভুললেও নিজের ওষুধের কথা ভলেননি তিনি। ওষুধের ব্যাগ দেখিয়ে জানতে চান, তিহারে ওষুধ, নেবুলাইজার, অক্সিজেন দেবে তো? তাকে আস্বস্ত করেন তার আইনজীবী।  তিনি জানিয়ে দেন, তিহার জেল হাসপাতাল থেকে ওষুধ দেয়া হবে।

অনুব্রতকে সাংবাদিকরা বগটুই নিয়ে বারবার প্রশ্ন করলেও তিনি একটা কথাও বলেননি।

ভরসা হাইকোর্ট

দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রতর জামিনের আবেদন বিচারাধীন আছে। তার আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষাল জানিয়েছেন, অনুব্রতকে নিয়ম মেনে গ্রেপ্তার করতে পারেনি ইডি। তাছাড়া গ্রেপ্তার করার পর প্রায় দুই মাস কেটে গেলেও ইডি চার্জশিট দিতে পারেনি।

জিএইচ/এসজি(নিউজ১৮, টিভি৯)