1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তিন বছরে আফিকার জঙ্গলে খুন হয়েছে আটশত গন্ডার

২৯ মার্চ ২০১১

বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় এক সময় পাওয়া যেত গন্ডার৷ এ কথা শুনলে অনেকেই হয়তো একে গল্প বলে উড়িয়ে দিতে পারেন৷ কিন্তু এটা গল্প নয়, সত্যি৷ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এই প্রজাতি৷

https://p.dw.com/p/10jTN
গন্ডারদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতছবি: AP

আজ একই পরিণতি বরণ করতে যাচ্ছে আফ্রিকার গন্ডার সম্প্রদায়৷

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো গন্ডারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রচণ্ডভাবে চিন্তিত৷ আর দুশ্চিন্তা না করার কোন কারণও নেই৷ প্রাণিকুলের জন্য বিশাল আবাসস্থল আফ্রিকার বনজঙ্গলে গত তিন বছরে খুন করা হয়েছে আটশত গন্ডার৷ কেবল গত বছরেই অবৈধ শিকারীদের হাতে মারা গেছে ৩৩৩টি৷ আর এই ২০১১ সালের প্রথম তিন মাসে এ পর্যন্ত মেরে ফেলা হয়েছে ৭০টি গন্ডার৷ ভাবতেই অবাক হতে হয়, মানুষ কি করে পারে এই বিশাল অথচ শান্ত জন্তুটাকে মেরে ফেলতে! কেন তাদের মারা হচ্ছে?- এ কথায় উত্তর শিং-এর জন্য৷ গন্ডারের কাল হয়েছে এই শিং৷ প্রতি কিলোগ্রাম শিং আন্তর্জাতিক কালো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২ হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে৷ আর এই শিং যাচ্ছে সনাতনী ওষুধ তৈরির জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে৷

Nashorn Hörner in Südafrika
গন্ডারের কাল হয়েছে এই শিংছবি: picture-alliance / © Balance/Pho

আফ্রিকায় সাদা এবং কালো, এই দুই ধরণের গন্ডারের দেখা মেলে৷ আন্তর্জাতিক প্রাণী সংরক্ষণ সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার' বা আইইউসিএনের মতে, এভাবে চলতে থাকলে সেই দিন বেশি দূরে নয়, যে দিন আফ্রিকা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে গন্ডার৷ এ অবস্থায় তারা অবৈধ শিকারীদের ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রাণী সংরক্ষণবাদীদের এক হয়ে কাজ করার উপরই গুরুত্ব দিয়েছেন তারা৷ আইইউসিএনের কর্মকর্তা রিচার্ড এমসিলে বলেন, সেই সঙ্গে প্রয়োজন ওদের জন্য সুন্দর পরিবেশ সম্মত বাসভূমি এবং প্রয়োজন অবৈধ পাচার ও শিকার রোধে কঠোর পদক্ষেপ৷ তাহলেই বাঁচতে পারে আফ্রিকার দুই ধরণের গন্ডার সম্প্রদায়৷ আফ্রিকার গন্ডার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গ্রুপের মতে, সংঘবদ্ধ পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে৷

হিসাবে দেখা যাচ্ছে, আফ্রিকায় কালো গন্ডারের সংখ্যা এখন চার হাজার ৪৮০টি৷ অপর দিকে সাদা গন্ডারের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার৷ তবে কালোর চেয়ে সাদা গণ্ডারের সংখ্যা বেশি মনে হলেও এই সংখ্যাকে অনেক বেশি বলে মনে করে না আইইউসিএন৷ তারা বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া এবং জিম্বাবোয়ের জঙ্গলে এদের সংখ্যা আরও বাড়তো, কিন্তু বাড়েনি কেবল অবৈধ শিকারীদের কারণে৷

অবশ্য এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার অবৈধ শিকার বিরোধী ইউনিট বেশ কিছু অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে, কিন্তু তাদের সংখ্যা খুব বেশি নয়৷ প্রয়োজন আরও জোরালো অভিযান, মত পরিবেশবাদীদের৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন