তারা মাথায় ‘আঁকেন’ ছবি
দুই ভাই মাথায় ছবি ‘আঁকায়’ দক্ষ হতে রাত জেগে জেগে কাজ করতেন৷ এভাবে প্র্যাকটিস করায় দক্ষ হয়ে শহর-গ্রামে নাম ছড়িয়ে দিতে সময় লাগেনি৷ এখন মাথায় ছবি ‘আঁকার’ দক্ষতাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে প্রস্তুত তারা৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
দুই ভাইয়ের সেলুন
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ছোট্ট শহর দাবওয়ালির সেলুনটা ভালো চলছিল না৷ সেলুনের মালিক রাজিন্দর সিং সিধু আর গুরবিন্দর সিং সিধু ব্যতিক্রমী কিছু করে সফল হওয়ার কথা ভাবছিলেন৷
মাথায় ট্যাটু!
কিন্তু দুই ভাই চুল কাটা ছাড়া অন্য কোনো কাজ তো জানেন না, ব্যতিক্রমী কিছু করবেন কী করে ! শেষ পর্যন্ত তাই মাথায় এলো অন্যের মাথায় ছবি আঁকার ভাবনা৷ বিশ্বের সব জনপ্রিয় মানুষ কিংবা দর্শনীয় স্থান, এমনকি প্রাণীর ছবি যদি মানুষের মাথায় এঁকে দেয়া যায়- তাহলে নিশ্চয়ই প্রচুর মানুষ আসবেন তাদের সেলুনে?
বুদ্ধির জয়
দুই ভাই ভাবলেন, মাথায় দীর্ঘস্থায়ী ছবি আঁকা ঠিক হবে না৷ প্রথমত, ট্যাটুর মতো কিছু হলে একবার কাজ করিয়ে কেউ আর কোনো দিন আসবে না৷ তাছাড়া অনেক ক্রেতা তো কিছুদিন পরপর নতুন ছবিও চাইতে পারেন, ট্যাটু হলে তো তা সম্ভব নয়! তাই কাঁচি, পেন্সিল আর ট্রিমার নিয়ে কাজে নেমে পড়লেন দুই ভাই৷ একসময় দেখলেন মাথায় বিভিন্ন ব্যক্তি, স্থান বা প্রাণীর ছবি ফুটিয়ে তোলা অসম্ভব কোনো ব্যাপার না৷
রাত জেগে প্র্যাকটিস
প্রথমে বেশ কিছুদিন রাত জেগে বহু মানুষের মাথায় এমন ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন তারা৷ কাজ ভালো না হলে তো কারো কাছে টাকা চাওয়া যায় না৷ তাই একটা সময় পর্যন্ত নানা জনের মাথায় বিনে পয়সায় বিশ্বসেরা তারকাদের চেহারা ভাসিয়ে তুলেছেন তারা৷ সারা দিন অন্ন সংস্থানের জন্য টাকার বিনিময়ে চুল কাটা আর রাতে বিনে পয়সায় মাথায় ছবি আঁকায় হাত পাকানো- ভীষণ কষ্টের ছিল সেই দিনগুলো৷
দেশের বাইরে সেলুন খোলার স্বপ্ন
দাবওয়ালিতে এখন তাদের রমরমা ব্যবসা৷ বলিউড; হলিউডের যে কোনো তারকা, এমনকি তাজমহল থেকে শুরু করে বিশ্বের যে কোনো বিখ্যাত স্থান বা যে কোনো প্রাণীর ছবিও মাথায় এঁকে দিতে পারেন তারা৷ প্রতিটি ছবির জন্য দিতে হয় ২৫০০ থেকে ২৮০০ টাকা৷ ভারতের বিভিন্ন শহরের মানুষ মনমতো ছবি আঁকাতে যান তাদের কাছে৷ এখন তাই দেশের বাইরেও সেলুন খোলার কথা ভাবছেন রাজিন্দর সিং সিধু আর গুরবিন্দর সিং সিধু৷