তাঁরা এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক
৬৮ বছর পর বাংলাদেশের কিছু জায়গা সত্যি সত্যি বাংলাদেশের হলো৷ ভারতের ভেতরের কিছু জায়গাও হয়েছে ‘ভারত’৷ প্রায় সাত দশক রাষ্ট্র পরিচয়হীন থাকা ছিটমহলবাসীদের অবশেষে নাগরিক হয়ে ওঠার আনন্দ নিয়েই আজকের ছবিঘর৷
উড়ল পতাকা
২০১৫ সালের ১ আগস্টের প্রারম্ভেই ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের মানচিত্রের অংশ হয়ে গেল৷ দিনটিকে উৎসবের আনন্দে উদযাপন করা হয়৷ বাংলাদেশের অংশে ওড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আর ভারতে ওড়ানো হয় ভারতীয় পতাকা৷ ছবিতে কুড়িগ্রামের দাশিয়ারছরা উপজেলায় বাংলাদেশের পতাকা ওড়াচ্ছেন উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ (মাথায় সাদা টুপি)৷
স্মরণীয় মুহূর্ত
জাতীয় পতাকা ওড়ানোর পর শুরু হয় অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা৷ কুড়িগ্রামের দাশিয়াছরার এ নারী জীবনে এই প্রথম উপলব্ধি করলেন স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক হওয়ার আনন্দ৷ মোমবাতি জ্বালিয়ে উদযাপন করা মুহূর্তটি নিশ্চয়ই তাঁর জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷
আগুনের পরশ
বাংলাদেশের পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নিলফামারী – এই চার জেলায় ভারতের ১৭ হাজার ১৬০ একর আয়তনের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতে বাংলাদেশের ৭ হাজার ১১০ একর আয়তনের ৫১টি ছিটমহলের ৫১ হাজার ৫৪৯ মানুষ এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক৷ দাশিয়াছরায় আগুন জ্বালিয়ে মুহূর্তটি উদযাপন করা হয়৷
পঞ্চগড়ে উৎসব
৬৮ বছরের অবর্ণনীয় কষ্ট থেকে মুক্তির মুহূর্তে পঞ্চগড়ের ছিটমহলবাসীরাও হাতে তুলে নিয়েছিলেন প্রজ্বলিত মোমবাতি৷
বাড়ল নাগরিক
বাংলাদেশ ও ভারতের অংশের ১৬২টি ছিটমহলের ৫১ হাজার ৫৪৯ জন অধিবাসীর মধ্যে এতদিন ৩৭ হাজার ৩৩৪ জন ‘ভারতীয়’ বাংলাদেশের ছিটমহলগুলোতে এবং ১৪ হাজার ২১৫ জন ‘বাংলাদেশি’ ভারতের ছিটমহলগুলোতে বাস করেছেন৷ এ পর্যন্ত ৯৭৯ জন ভারতে চলে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে৷ তারপরও বাংলাদেশের আয়তন এবং জনসংখ্যা বেড়েছে৷
‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’ এবং একটি প্রশ্ন
সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন নিঃসন্দেহে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শন৷ তারপরও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পুরোপুরি ‘শান্তিময়’ হবে এমন নিশ্চয়তা কি আছে? ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যা কি থামবে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে...৷