1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘তনু হত্যার বিচার চাই'

আশীষ চক্রবর্ত্তী২৬ মার্চ ২০১৬

কুমিল্লা থেকে ধীরে ধীরে সারা দেশেই উঠতে শুরু করেছে তনু হত্যার বিচারের দাবি৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও এই দাবিতে সরব৷ গত ২০ শে মার্চ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে হত্যা করা হয় কলেজ ছাত্রী তনুকে৷

https://p.dw.com/p/1IJwa
সোহাগী জাহান তনু
ছবি: Twitter

গত ২০ শে মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় পাওয়া যায় সোহাগী জাহান তনুর লাশ৷ পুলিশের ধারণা, ধর্ষনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনুকে হত্যা করা হয়েছে৷ তবে পুলিশের এই বক্তব্য এবং তদন্ত নিয়ে জনমনে ব্যাপক সন্দেহ রয়েছে৷ হত্যার বিচার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে অনেক সংগঠন৷ তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে একটি মহল এখন ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে – এমন অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ করেছে তারা৷

জানা যায়, বাবা কুমিল্লা সেনানিবাসের বেসামরিক কর্মচারী বলে সেনানিবাসের কোয়ার্টারেই পরিবারের সঙ্গে থাকতেন ভিক্টোরিয়া কলেজে ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী তনু৷ লেখাপড়ার পাশাপাশি কলেজে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় ছিলেন৷ হাতখরচের টাকা যোগাড় করতে ছাত্র পড়াতেন৷ সেদিন বিকেলেও বাড়ির কাছেই গিয়েছিলেন ছাত্র পড়াতে৷ কিন্তু অন্যান্য দিনের মতো সন্ধ্যার আগে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান মা৷ নিজেই খুঁজতে বেরিয়ে যান৷ সন্ধান না পেয়ে ফিরে আসেন৷ রাত দশটার দিকে তনুর বাবা বাসায় ফিরলে আবার শুরু হয় খোঁজা৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পর সেনানিবাসের ভিতরেই এক কালভার্টের নীচে পাওয়া যায় সোহাগী জাহান তনুর মৃতদেহ৷

সেনানিবাসের ভেতরে এক শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যুতে জনমনে উদ্বেগ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে৷ তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন৷ চলছে হত্যার প্রতিবাদ এবং দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ৷

তনু হত্যার বিষয়টি নিয়ে নানা রকমের প্রশ্ন উঠে আসছে৷ সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, সেনানিবাসের ভেতরে কিভাবে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে হত্যাকারীরা নির্বিঘ্নে গা ঢাকা দেয়? ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত?

শান্তা মারিয়া তুলে ধরেছেন আরেকটি প্রশ্ন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘অনেক সময় ধর্ষণের দায় মেয়েটির উপর চাপিয়ে দিয়ে বলা হয় তার পোশাক নাকি ‘যথেষ্ট শালীন' ছিল না৷ মেয়েদের পোশাক ও চলাফেরার কারণেই নাকি ধর্ষণকারীরা উৎসাহিত হয়৷ নারীর পোশাক নিয়ে যারা মুখে ফেনা তোলে এবং কৌশলে ধর্ষণের দায় নারীর উপরেই চাপিয়ে দিতে তৎপর হয় তারা এবার নীরব কেন বুঝতে পারছি না৷ অবশ্য এ দেশে এক বছর বয়সি শিশুও ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে৷ তনুর মতো হিজাব-পরা তরুণীও রেহাই পায়নি৷ রেহাই পায়নি মাদ্রাসা ছাত্রীরাও৷''

তনু হিজাব পরতেন৷ তারপরও তাঁকে ধর্ষণের করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ এতে কি বোঝা গেল না যে, তথাকথিত শালীন পোশাক পরলেও নারীরা নিরাপদ নয়?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য