1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্যাশন শো মাতালেন অ্যাসিড ভিক্টিমরা

৮ মার্চ ২০১৭

কিশোরী মডেল সোনালী খাতুন যখন মঞ্চে ওঠেন উপস্থিত দর্শকরা বিপুল উৎসাহে তাকে স্বাগত জানান৷ তবে তিনি সাধারণ কোনো মডেল নন, যে ফ্যাশন শো-তে তাকে দেখা গেছে সেটিও সাধারণ কোনো শো নয়৷

https://p.dw.com/p/2YoUW
ফ্যাশন শো-তে অংশ নিচ্ছেন অ্যাসিড ভিক্টিমরা
ছবি: Reuters/M.P.Hossain

সোনালী এবং আরো ১৪ জন মডেলের সবাই অতীতে অ্যাসিড হামলার শিকার হয়েছেন৷ বাংলাদেশে অ্যাসিড হামলার ঘটনা মাঝেমাঝেই ঘটে৷ প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় কিংবা কোনো কারণে পরিবারের অসন্তুষ্ট কোনো সদস্য অ্যাসিড ছুড়ে মারেন প্রতিশোধ নিতে৷

মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় আয়োজিত ফ্যাশন শো-তে উপস্থিত ছিলেন অনেক ফ্যাশনপ্রেমী, মানবাধিকার অ্যাক্টিভিস্ট এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন কূটনীতিক৷ অ্যাসিড সন্ত্রাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানাতে এই শো'র আয়োজন করা হয়, যেখানে কার্যত সৌন্দর্যের গতানুগতিক সংজ্ঞাকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে৷

Bangladesch Fashion Show Opfer von Säureangriffen
ছবি: Reuters/M.P.Hossain

১৪ বছর বয়সি সোনালীর কাছে অবশ্য এই ইভেন্ট নারীর ক্ষমতায়নের কোনো ব্যাপার নয়৷ জন্মের মাত্র কয়েকদিন পরই অ্যাসিড হামলার শিকার হন তিনি৷ জমিজমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চালানো হামলায় আহত হন তিনি৷ তার চেহারা এবং হাত অ্যাসিডে ঝলসে যায়৷ সুস্থ হয়ে উঠতে তিন বছর হাসপাতালে থাকতে হয়েছে সোনালীকে, ছোট্ট দেহে অপারেশন হয়েছে আটবার৷ কিন্তু হামলাকারী কখনোই ধরা পড়েনি৷

‘‘আমি এখানে আসতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত'', ব়্যাম্পে বললেন সোনালী৷ নিজের স্বপ্ন সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বললেন, ‘‘আমি চিকিৎসক হতে চাই৷''

অ্যাসিড হামলার শিকার মডেলদের মধ্যে তিনজন পুরুষও ছিলেন৷ ফ্যাশন শো-তে তাঁরাও বাংলাদেশে ডিজাইন করা তাঁতে বোনা পোশাক পরেছেন৷ শো-র কোরিওগ্রাফার ছিলেন স্থানীয় ডিজাইনার বিবি রাসেল৷ আয়োজকরা আশা করছেন যে, অ্যাসিড ভিক্টিমরা যে সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সেটা সবাইকে জানাতে সক্ষম হয়েছেন৷ মুসলিমপ্রধান দেশ বাংলাদেশে তাঁরা দৃশ্যত উপেক্ষিত৷

Bangladesch Fashion Show Opfer von Säureangriffen
ছবি: Reuters/M.P.Hossain

ফ্যাশন শো-তে দর্শকের সারিতে থাকা অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের ফারাহ কবির বলেন, ‘‘আমি প্রায়ই তাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নেই৷ তাদের অনেক সাহস৷''

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদশক ধরেই অ্যাসিড হামলা প্রতিরোধে সংগ্রাম করছে বাংলাদেশ৷ কয়েকবছর আগে অ্যাসিড হামলার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়৷ এছাড়া অ্যাসিড হামলার শিকারদের চিকিৎসায় চিকিৎসকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি অ্যাসিড বিক্রির ক্ষেত্রে নিয়মনীতি কড়া করা হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও অ্যাসিড হামলা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি৷ গত বছরও অ্যাসিড হামলার শিকার হয়েছেন অন্তত ৪৪ জন৷

এআই/এসিবি (এপি)

বন্ধু, প্রতিবেদনটি আপনার কেমন লাগলো? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য