‘ঢাকার শেয়ারবাজার ক্যাসিনো বোর্ডের মতো হয়ে গেছে’
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, যে কোন মূল্যে শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে৷
সপ্তাহের শুরুর দিন রবিবার ব্যাপক দরপতন হয়েছে ঢাকার শেয়ারবাজারে৷ কমেছে প্রায় সব শেয়ারের দাম৷ আর এতে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ শুরু করায় বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ দুপুর ১২টায় সূচক প্রায় তিনশ' পয়েন্ট কমে গেল বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আসেন৷ বেলা ২টায় সাধারণ সূচক কমে আগের দিনের চেয়ে প্রায় সাড়ে চারশ' পয়েন্ট৷
বিভিন্ন ব্রোকারেস হাউজে অবস্থানকারী বিনিয়োগকারীরা ভবনের ভেতর থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেন৷ মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে আগে থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিলো৷ বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ভবনের ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে৷ সাড়ে ১২টার পর তারা নেমে আসেন রাস্তায়৷ মিছিল শুরু করলে প্রথমে পুলিশ তাদের বাধা দেয়৷ তারপরও মিছিল চলে৷ ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ির সময় মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে আর কে মিশন রোড পর্যন্ত সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ মিছিল থেকে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে হরতালের কর্মসূচি দেয়ারও হুমকি দেন তারা৷
অন্যদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, মোট জিডিপিতে শেয়ারবাজারের অবদান দুই ভাগের বেশী হবে না৷ কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ বাংক ও অর্থ মন্ত্রনালয় শেয়ার বাজার নিয়ে খুব বেশী উদ্বিগ্ন৷ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সংক্ষেপে সিপিডি প্রবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতি ও মূদ্রানীতি নিয়ে ডায়ালগের আয়োজন করে৷ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেহমান সোবহান বলেন, শেয়ারবাজারকে প্রকৃত অর্থে অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে না দেয়ায় এটি ক্যাসিনো বোর্ডের মতো হয়ে গেছে৷
বাংলাদেশ ব্যাংক কতটা স্বাধীনভাবে মূদ্রানীতি দিতে পারছে সে প্রশ্ন তোলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ৷
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই এমনই জবাব দেন বাংলাদেশ বাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান৷ এমনকি মূদ্রানীতিও নিজেদের৷ তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা