ডুবে যাওয়া জাহাজের নিখোঁজ নাবিকদের খোঁজ চলছে
২৭ মার্চ ২০১০ইতিমধ্যেই পীত সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫৮ জনকে৷
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ং বাক কিন্তু এই ঘটনায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত৷ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদকে বলা হয় ব্লু হাউজ৷ আর এই ব্লু হাউজের মুখপাত্র কিম হিউয়ান হি জানালেন, প্রেসিডেন্ট জাহাজ ডুবির এই ঘটনা তদন্তে নির্দেশ দিয়েছেন৷ বিশেষ করে দুই কোরিয়ার বিরোধপূর্ণ জলসীমায় কি করে এই ঘটনা ঘটলো তার পূর্ণাঙ্গ এবং চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং কারণ জানতে চান তিনি৷ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত নৌবাহিনীর কোন জাহাজ ডুবির এত বড় ঘটনা তদন্তের ভার তিনি তুলে দিয়েছেন সেনাবাহিনীর কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার কাঁধে৷ প্রেসিডেন্ট বলেও দিয়েছেন, এই তদন্ত কাজে বেশি সময়ক্ষেপণ চান না তিনি৷
তবে প্রাথমিকভাবে খবর এসেছিল সোল মনে করছিল এই ঘটনার সঙ্গে হয়তো উত্তর কোরিয়ার যোগসাজশ রয়েছে৷ বিভিন্ন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছিল, উত্তর কোরীয় টর্পেডোর আঘাতে জাহাজটি ডুবে গেছে৷ পরে অবশ্য তারা এই কথা থেকে সরে আসে৷
শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে বলে সংবাদ সংস্থাগুলো জানাচ্ছে৷ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ১২০০ টনের এই ডুবে যাওয়া জাহাজের ১০৪ জন নাবিকের মধ্যে ৫৮ জনকে উদ্ধার করা গেছে৷ এখনও ৪৬ জন নিখোঁজ রয়েছে৷ নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা ধারণা করছেন নিখোঁজদের অনেকেই মারা গেছে৷ তবে মৃতের সংখ্যা কত তা তারা বলেননি৷
উদ্ধারকারীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, পীত সাগরের আবহাওয়া প্রচন্ড খারাপ৷ বয়ে যাচ্ছে ঝড় হাওয়া৷ তাছাড়া প্রচন্ড ঘূর্ণিপাক এবং বরফ শীতল পানির কারণে নিখোঁজদের খুঁজে পেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে৷ কেবল যে উদ্ধার তৎপরতাই সমস্যার মুখোখুখি হচ্ছে, তাই নয়৷ যে সকল কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পড়েছে জাহাজ ডুবির কারণ অনুসন্ধানে, তারাও সেখানে কাজ চালাতে পারছেন না৷ বিশেষ করে ডুবে যাওয়া জাহাজের কাছে যেতে না পারার কারণে বোঝা যাচ্ছে না কোন টর্পেডো না কি জাহাজের অভ্যন্তরিণ বিস্ফোরণে এই ঘটনা ঘটেছে৷
প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম