ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে জাতিসংঘের পরামর্শ
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আগামী ত্রিশ বছরে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা তিন গুণ হবে৷ তাই এই রোগের ঝুঁকি কমাতে কিছু পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি৷
ডিমেনশিয়ার কারণ
মস্তিস্কের বিভিন্ন রোগের কারণে মানুষের স্মৃতিশক্তি, চিন্তাভাবনা ও আচরণে নানান পরিবর্তন আসতে পারে৷ সে কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হতে পারে৷ এই অবস্থাকে ডিমেনশিয়া বলে৷ হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, স্থূলতা, ডিপ্রেশনের কারণে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
সংখ্যা তিন গুণ বাড়বে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বর্তমানে বিশ্বে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি৷ ২০৫০ সাল নাগাদ সংখ্যাটি তিন গুণ বেড়ে ১৫ কোটির বেশি হতে পারে৷ নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে রোগীর সংখ্যা বেশি বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ফলে অনেক দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দারুণ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে৷
আর্থিক বোঝা
ডিমেনশিয়ার রোগীদের দেখভালের খরচ অনেক বেশি৷ ২০১৫ সালে এই খরচ ছিল ৮১৮ বিলিয়ন ডলার৷ ২০৩০ সালে তা দুই ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷
ঝুঁকি কমানো
বয়স বাড়া ও পারিবারিক ইতিহাসের কারণে ডিমেনশিয়ার যে ঝুঁকি থাকে, তা এড়ানো সম্ভব নয়৷ কিন্তু জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এই রোগে ভোগা শুরুর সময়টি একটু বিলম্ব করা যায় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
কয়েকটি পরামর্শ
নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান না করা, অ্যালকোহলের ক্ষতিকর ব্যবহার এড়ানো, ওজন নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা – ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে এসব পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
সেবাকারীদের প্রশিক্ষণ
জাতিসংঘ বলছে, সাধারণ পরিবারের সদস্যরাই ডিমেনশিয়া রোগীদের সেবা করে থাকেন৷ সেজন্য তাঁদের পারিবারিক ও পেশাগত জীবনে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়৷ সেবা করতে গিয়ে সেবাদানকারীরা অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন৷ তাই কীভাবে সেবা দিতে হবে সে সংক্রান্ত একটি অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ কর্মসূচির ওয়েবসাইটে যেতে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷