1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রুশ-মার্কিন সম্পর্ক

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)২৮ জুন ২০১৮

সম্ভবত জুলাই মাসেই আনুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হতে চলেছেন মার্কিন ও রুশ প্রেসিডেন্ট৷ তবে ট্রাম্প অ্যামেরিকা ও তার জোটসঙ্গীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/30S3p
ভিয়েতনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন
ছবি: Getty Images/M.Klimentyev

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এর আগেও মিলিত হয়েছেন, তবে দুই নেতার মধ্যে আনুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠক হয়নি৷ বুধবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন মস্কোয় পুটিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে বোঝাপড়ায় এসেছেন৷ পুটিন তাঁকে বলেছেন, রুশ-মার্কিন সম্পর্ক এই মুহূর্তে মোটেই সেরা অবস্থায় নেই৷ তবে রাশিয়া কখনোই সংঘাত চায়নি৷

আগামী জুলাই মাসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ট্রাম্প ব্রাসেলস যাচ্ছেন৷ তারপরই সম্ভবত ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে দুই নেতার সাক্ষাৎ হতে পারে৷ রাশিয়া সম্ভবত অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এই বৈঠক চাইছে৷ বৃহস্পতিবার এই শীর্ষ বৈঠকের দিনক্ষণ জানানো হবে বলে শোনা যাচ্ছে৷

ট্রাম্প ও পুটিন কী বিষয়ে আলোচনা করবেন? ট্রাম্প নিজে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি সিরিয়া ও ইউক্রেনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করতে চান৷ তবে অ্যামেরিকায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে রাশিয়ার সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের আশঙ্কা নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যে সাবধানবাণী প্রকাশ করেছে, সেই বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷ বোল্টন অবশ্য এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি৷ উল্লেখ্য, ট্রাম্প টিমের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগের অভিযোগে তদন্ত চলছে৷ ট্রাম্প অবশ্য শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন৷ গত নভেম্বর মাসে ভিয়েতনামে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় গোষ্ঠী অ্যাপেক শীর্ষ সম্মেলনে পুটিনের সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি বলেই তিনি বিশ্বাস করেন৷ বুধবারও তিনি পুটিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে আশা প্রকাশ করেন৷

ট্রাম্প ও পুটিনের ঘনিষ্ঠতা অ্যামেরিকার অনেক জোটসঙ্গীর মাথাব্যথার কারণ৷ বিশেষ করে যারা পুটিনের নেতৃত্বে রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে চাইছে, তারা এই শীর্ষ বৈঠকের দিকে কড়া নজর রাখবে৷ ব্রিটেন ছাড়াও সামরিক জোট ন্যাটো পুটিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উষ্ণতা ও সখ্যতা ভালো নজরে দেখছে না৷ ক্যানাডায় জি-সেভেন বৈঠকে জোটসঙ্গীদের প্রতি ট্রাম্প যে আচরণ করেছেন, ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনেও তার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছে কিছু মহল৷ এমন প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্কের উন্নতির প্রচেষ্টা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে৷ বিশেষ করে ইউক্রেন ও সিরিয়ায় রাশিয়া তার নীতির কোনো পরিবর্তন না করেই আন্তর্জাতিক সমাজে ‘পুনর্বাসিত’ হলে তা এক মারাত্মক দৃষ্টান্ত হবে বলে মনে করছে অনেক দেশ৷ 

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, মার্কিন জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই ট্রাম্প পুটিনের সঙ্গে আলোচনা করবেন৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, ইউক্রেন ও জর্জিয়ায় রাশিয়ার দখলদারি নীতিকে মার্কিন প্রশাসন বেআইনি মনে করে৷