ট্যাক্সিতে সেরা লন্ডন, পিছিয়ে রোম, প্যারিস
১৭ আগস্ট ২০১০এক্সপিডিয়া গ্রুপের একটি অঙ্গসংগঠন ‘ট্র্যাভেল ওয়েব সাইট হোটেলস্ ডট কম'এ বছর এগারো থেকে ২৮মে একটি সমীক্ষা চালান৷ ঊনিশশোরও বেশি পর্যটকদের ওপর চালানো হয় এই সমীক্ষা৷ যেখানে বলা হচ্ছে, ভাড়া অনেক বেশি হওয়া স্বত্ত্বেও লন্ডনের ট্যাক্সি সার্ভিস তাদের অন্যান্য শহরের প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে পরপর তিনবছর ধরে বেশ এগিয়ে আছে৷ বিভিন্ন ধরণের পর্যটকদের শতকরা ঊনষাট ভাগ ভোট পেয়ে এই সুনাম লাভ করেছে লন্ডনের ট্যাক্সি৷
লন্ডনের ট্যাক্সি চালকরা তাঁদের বন্ধুসুলভ ব্যবহার এবং শহরের বিভিন্ন জায়গার খুঁটিনাটি রাস্তাঘাট চেনার কারণেই ভোট পেয়েছেন বেশি৷ তবে এটা ভাবার কারন নেই যে, লন্ডনে যাঁরা ট্যাক্সি চালান তাঁরা বুঝি এমনিতেই শহরের সবকিছু চিনে যান! এর পেছনে একটা কারণ আছে৷ গাড়ি চালাতে পারলেই এখানে ট্যাক্সি চালক হওয়া যায়না৷ ইংল্যান্ডের রাজধানীতে ট্যাক্সিচালক হতে হলে রীতিমতো একটি পরীক্ষায় পাশ করতে হয়, যাকে বলা হয় টাক্সির লাইসেন্স অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানের পরীক্ষা৷
শতকরা সাতাশ ভাগ ভোট পেয়ে নিউইয়র্কের হলুদ ট্যাক্সিগুলো রয়েছে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে৷ কেননা, পর্যটকরা বলেছেন, নিউইয়র্কে ট্যাক্সি পাওয়া অনেক সহজ৷ অন্যদিকে, তালিকায় সবচেয়ে নিচে আছে রোমের ট্যাক্সি চালকরা৷ পর্যটকদের প্রায় দশজনের মধ্যে একজন বলছেন, গাড়ি চালানোর দিক থেকে ইটালির রাজধানী রোমের ট্যাক্সি ড্রাইভাররা একেবারেই দক্ষ নন৷
‘ট্র্যাভেল ওয়েব সাইট হোটেলস্ ডট কম' এর এক মুখপাত্র বলেন, ‘নতুন একটা শহরে এসে অনেক পর্যটকের প্রথম অভিজ্ঞতাই হচ্ছে ট্যাক্সিতে চড়া৷ গবেষণাতেও দেখা গেছে, বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছানোর জন্য ট্যাক্সিই সবচেয়ে জনপ্রিয়৷'
বিশ্বের বিভিন্ন শহরের চালকদের ট্যাক্সি চালানোর দক্ষতা, জ্ঞানের পরিসীমা, বন্ধুত্বসুলভ আচরণ, নিরাপত্তা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ভোট নিয়ে এই সমীক্ষাটি করা হয়েছে৷ এতে শতকরা ছাব্বিশ ভাগ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপানের রাজধানী টোকিও৷ এরপরই রয়েছে জার্মানির রাজধানী বার্লিন, পেয়েছে শতকরা সতেরো ভাগ ভোট৷ শতকরা চোদ্দো ভাগ ভোট পেয়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক৷ স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে৷ তারপর রয়েছে কোপেনহেগেন আর ডাবলিন৷ এই দু‘টো শহরের ট্যাক্সি চালকরা পেয়েছেন মাত্র এগারো ভাগ ভোট, আর আরও দুই নামজাদা শহর ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং প্যারিস পেয়েছে স্রেফ দশ ভাগ ভোট৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়