টোর এবং সাইফন: ইন্টারনেট দুনিয়ায় ‘নিরাপত্তারক্ষী’
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১এ প্রশ্নের সহজ কোনো উত্তর আসলে নেই৷ খুব সহজলভ্য এবং শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়ার ব্যবস্থাও নেই বললেই চলে৷ তবে অন্তর্জালের পরতে পরতে কতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে সে ধারণা কিছুটা থাকলে নিরাপদে ব্রাউজ করা সম্ভব৷
কিন্তু মুশকিল হলো, ইন্টারনেটে কতভাবে গোপনীয়তা ভঙ্গ হতে পারে, কারো কাজ বা পরিচয় অন্য কেউ কিভাবে দেখতে পারে অনেকেই তা বুঝতে পারেন না৷ বস্তুতপক্ষে ইন্টারনেটের সবই সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত এমন সব মানুষের কাছেই উন্মুক্ত৷ পোস্টকার্ডের লেখা যেমন প্রেরক এবং প্রাপক ছাড়াও ইচ্ছে করলে যে কেউ পড়তে পারেন, ইন্টারনেটের ট্রাফিকও ঠিক সেরকম৷ সেখানে পরিচয় প্রকাশ করার মতো অনেক তথ্যই প্রায় উন্মুক্ত থাকে৷ প্রথমে বলা যেতে পারে কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেসের কথা৷
আজকাল অবশ্য এর বাইরেও অনেক কিছু দিয়েই ব্যবহারকারীকে চিনে নেয়া যায়৷ এমনকি কম্পিউটারের ব্রাউজার প্লাগইন, স্ক্রিন রেজোলিউশন, উইনডোজের আকার, ভাষা, সময় ইত্যাদি দিয়েও ব্যক্তিকে চেনা যায়৷ এমনকি আধুনিক প্রযুক্তির এই বিশ্বে ফিঙ্গারপ্রিন্টও সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত শতকরা ৯৮ ভাগ মানুষের কাছে একজনের পরিচয় প্রকাশে সহায়ক হতে পারে৷ তাকে চিনে নিতে তখন আইপি অ্যাড্রেসেরও দরকার পড়ে না৷
রক্ষা করতে পারে ‘টোর’
টোর (Tor) মানে ‘দ্য অনিয়ন রাউটার’৷ পেঁয়াজের খোসার মতো স্তরে স্তরে গড়ে তোলা নিরাপত্তা প্রাচীর দিয়ে এই ব্রাউজার ব্যবহারকারীকে আড়ালে রাখে৷ সার্ভারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে হয় না বলে এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার সবচেয়ে বেশি নিরাপদ৷
সাইফন
ক্যানাডার তৈরি সাইফনও নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম৷ এতে এমন ধরনের অ্যাপ এবং কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহারের সুযোগ থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের সেন্সরশিপ এড়ানোর মেকানিজম গড়ে তুলতে সক্ষম৷
ফাবিয়ান স্মিড্ট/এসিবি