1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেলিকম দুর্নীতিতে সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট নিয়ে মতভেদ

২৮ এপ্রিল ২০১১

ভারতে টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনে দুর্নীতির তদন্তকারী সংসদীয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির রিপোর্ট নিয়ে তীব্র মতভেদে কমিটির বৈঠক আজ ভেস্তে যায়৷

https://p.dw.com/p/115QE
মুরলী মনোহর যোশিছবি: AP

শাসক জোটের সদস্যরা রিপোর্টকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিহিত করে কমিটির নেতা বিজেপির মুরলী মনোহর যোশির ইস্তফা চেয়েছেন৷

টু-জি স্পেকট্রাম দুর্নীতির রিপোর্ট চূড়ান্ত করতে সংসদীয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকে শাসক জোট ও বিজেপির মধ্যে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্কে ভেস্তে যায় আজকের বৈঠক৷ কমিটির নেতা বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা মুরলি মনোহর যোশি বৈঠক ছেড়ে চলে যান৷ সভাপতির আসন নেন কংগ্রেসের সঈফুদ্দিন সোজ৷ খসড়া রিপোর্টে টু-জি স্পেকট্রাম দুর্নীতির জন্য সাবেক টেলিকম মন্ত্রী এ.রাজাকে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে ছেড়ে কথা বলা হয়নি৷ বলা হয়, সরকার জেনেশুনে চোখ বুজে ছিলেন৷ ভুল সংশোধনের চেষ্টা করেনি৷ তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে দুর্নীতির বিষয়টিতে ইতি টেনে দেন৷ প্রধানমন্ত্রীর দিক থেকেও দুর্ভাগ্যজনক গাফিলতি হয়েছিল৷ ফলে সরকারের বিপুল আর্থিক লোকসান হয়৷

রিপোর্ট চূড়ান্ত হবার আগে তা কী করে ফাঁস হলো তার তদন্তের দাবি জানিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্তি নটরাজন বলেন, এজন্য কমিটির চেয়ারম্যানকে জবাব দিতে হবে ৷ পাল্টা অভিযোগ বিজেপির৷ বিজেপি মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ভেবেচিন্তে ,পরিকল্পিতভাবে ড. যোশির বিরুদ্ধে এই আক্রমণ৷ প্রধানমন্ত্রী যাঁকে সমীহ করেন, তাঁকে ভিলেন বানানো অন্যায়৷ রিপোর্টে ঘোর আপত্তি কমিটির শাসক জোটের সদস্যদের৷ তাঁদের অভিযোগ, এই রায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ সরকারের সুস্থিতি নষ্ট করাই লক্ষ্য৷ কংগ্রেস সদস্য কে.এস রাও-এর মতে ৩০০ পাতার এই রিপোর্ট তাঁদের পড়ে দেখার সুযোগ দেয়া হয়নি৷ রিপোর্টে বহু অসঙ্গতি রয়ে গেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর দিকে আঙুল তোলা অনুচিত৷ শাসক জোটের অন্যতম শরিক ডিএমকে দলের সদস্যের মতে, এই রায় দুরভিসন্ধিমূলক৷ কমিটির নেতা ড. যোশির পদত্যাগ দাবি করেন তাঁরা৷

টেলিকম কেলেঙ্কারির তদন্তে ভারত সরকার ও বিরোধী পক্ষের ২১জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় সংসদীয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি সংক্ষেপে পিএসি যার নেতা প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা মুরলি মনোহর যোশি৷ সংসদে বিভিন্ন দলের আনুপাতিক হারে ২২জন সদস্যের মধ্যে কংগ্রেসের ৭জন,বিজেপির ৪জন,ডিএমকে ও এআইএডিএমকের ২জন করে এবং সিপিএম,সমাজবাদী পার্টি,বহুজন সমাজবাদী পার্টি,শিবসেনা,জেডি-ইউ,বিজেডির একজন করে সদস্য৷

রিপোর্টের বিভিন্ন ইস্যুতে আপত্তি তুলে এই রিপোর্ট বাতিল করার দাবি জানান শাসক জোট৷ তাদের সমর্থন করে সমাজবাদী পার্টি এ বহুজন সমাজবাদী পার্টি৷ রিপোর্ট নিয়ে ভোটাভোটি হলে সরকার পক্ষে আছে ১১জন সদস্য৷ নিয়ম অনুসারে রিপোর্ট অনুমোদন করতে হবে সর্বসম্মতভাবে না হয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে৷ রিপোর্ট জমা দেবার সময়সীমা ৩০শে এপ্রিল৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়,নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক